জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

অরুনিমা মহালয়ার অংশ হতে না পেরে মন খারাপ করে, সৌমীতৃষাকে জোর করে করানো হয় মহালয়া! ‘বুঝুন কার ইগো বেশি’, ক্ষুব্ধ দর্শক

জি বাংলার ‘মিঠাই’এর মাধ্যমে সৌমীতৃষা কুণ্ডু (Soumitrisha Kundu) জনপরিচিতি লাভ করেন। টলিউডের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিসাবে তাঁকে এখন সকলেই চেনেন। বর্তমানে ফলোয়ার্স সংখ্যা আকাশ ছোঁয়া। অনেকেরই দাবি, সৌমীর এই বিশাল জনপ্রিয়তা সম্ভব হয়েছে জি বাংলার (Zee Bangla) ‘মিঠাই’ (Mithai) ধারাবাহিকের মাধ্যমে। ‘মিঠাই’ চরিত্রটির মধ্যে দিয়ে অভিনেত্রী সৌমীতৃষা দর্শকদের মনে বেশ ভালো জায়গা করে নিয়েছেন। যদিও এর পেছনে রয়েছে সৌমীর অসম্ভব অভিনয় দক্ষতা।

বর্তমানে ছোট পর্দা ছেড়ে বড় পর্দায় অভিনয় করতে চলেছেন আমাদের মিঠাই রানী। সৌমী বরাবর নিজেকে প্রতিটি কাজের মাধ্যমে নতুন করে গড়ে তোলার চেষ্টা করে। বড় পর্দায় দেবের সঙ্গে ‘প্রধান’এর নায়িকা হিসাবে সৌমী ফের পর্দায় ফিরতে চলেছেন। অভিনেত্রীর সুযোগের কথা সামনে আসতেই বহুজন অনেক খারাপ মন্তব্য করেছেন সৌমীকে নিয়ে। দেবের পা চেটে বড় পর্দায় চান্স পেয়েছেন সৌমী, এমন কথাও কানে এসেছে।

অভিনেত্রী এসকল কমেন্টে ভ্রূক্ষেপ না করেই আগে এগিয়ে চলেছেন। সম্প্রতি সৌমীর একটি পোস্ট ঘিরে জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। এক ভক্ত তাঁকে প্রশ্ন করেন, তাকে পরের বছর জি বাংলার মহালয়াতে দেখা যাবে কিনা? সেই প্রশ্নের উত্তরে সৌমী জানান, ‘না’, তিনি বুঝিয়ে দেন যে মহালয়াতে অভিনয় করতে একেবারেই পছন্দ করেন না। দু’বছর ধরে তাঁকে জি বাংলা অনুরোধ করার জন্য তিনি কেবল সেটি রেখেছিলেন, তবে আর নয়। এমন উত্তরেই অনেকেই খেপে গিয়েছেন।

মহালয়া আসতে আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি। এদিন জি বাংলায় মহালয়ার অনুষ্ঠানে সমস্ত তারকাদের আমরা দেখতে পাব। কিন্তু আমরা আগেই জেনেছি, বিশেষ কাজের জন্য বাইরে যাওয়াতে ‘মন দিতে চাই’ (Mon Dite chai) এর নায়িকা অরুনিমা হালদারকে (Arunima Haldar) বাদ দেওয়া হয়েছে অনুষ্ঠান থেকে। এদিকে সৌমীর কাছে অফার যাওয়ার পরও সৌমী সেটা ফিরিয়ে দেয়। আর তা দেখেই সৌমীর ইগো বেড়েছে, এমনটা মনে করছেন অনেকে।

হেটার্সরা সৌমীর এই ব্যবহার মোটেই পছন্দ করছেন না। অনেকেই বলছেন, বড় পর্দায় চান্স পেয়ে তিনি ভুলেই গিয়েছেন, এই জি বাংলাই তাঁকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। ‘মিঠাই’তে সুযোগ না পেলে হয়তো তাঁর এতো জনপরিচিতি কোনওদিনও হত না। বড় পর্দায় চান্স পেতেই তিনি মহালয়াতে অভিনয় করা বেকার মনে করেন। অনেকের ধারণা, এটা জি বাংলাকে ছোট করা হচ্ছে। এমন উত্তর তাঁর থেকে আশা করেননি কেউ।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।