Bangla Serial

Neem Phuler Modhu: ‘মা, তোমার থেকে অনেক বেশি আমায় পর্ণা ভালবাসে’! বদলে গেল সৃজন, মাকে ভুলে বউ পাগল হল

‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phuler Modhu) ধারাবাহিকের জমজমাট পর্ব। সকলের সামনে এবার সত্যি স্বীকার করতে চলেছে। সৃজনের মা কৃষ্ণা। খুব শিগগির মুখোশ খুলতে চলেছে ইশার। মিল হবে পর্ণা-সৃজনের। ইশার ষড়যন্ত্রের জাল কাটিয়ে মিল হবে ‘সৃপর্ণা’ জুটির। পরবর্তী এপিসোডে কী হবে? জানতে পড়ে ফেলুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি।

জি বাংলার ‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকে আমরা দেখেছি প্রথমে মিথ্যে ষড়যন্ত্রের ফাঁদে সৃজনকে ফাঁসায় ইশা। তারপর ইশা ও পর্ণার শাশুড়ি কৃষ্ণা মিলে সৃজন ও পর্ণার ডিভোর্সের বন্দোবস্ত করে। সৃজনের সই করা ডিভোর্স পেপার পাঠানো হয় পর্ণার কাছে। পর্ণা বিশ্বাস করে না যে সৃজন এতে সই করেছে। কিন্তু পরে সে ঠিক করে নতুন করে নিজের জীবন শুরু করবে।

কিন্তু এরপরই ধারাবাহিকের গল্পে নব্বই ডিগ্রি মোড় নেয়। পর্ণাকে ডিভোর্স দিয়েছে সৃজন। তবে পর্ণার কথায়, সৃজন নিজে থেকে নয় বরং সৃজনের সই জাল করে ষড়যন্ত্র করে ডিভোর্স পেপারে তাঁর সাইন বসানো হয়েছে। গোটা ঘটনা টিতে ঈশা,পর্ণার শাশুড়ি জড়িত আছে বলে জানা যায়। এরপর পর্ণা ঠিক করে যে প্রাক্তন সৃজনকে ভুলে নতুন করে বিয়ের পিঁড়িতে বসবে সে।

তারপর দেখা যায়, বিয়ের পিঁড়ি বসেছে পর্ণা সৃজন। না না, একসঙ্গে নয়। একই বাড়িতে বসেছে তাঁদের আসর। এমনকি ছাদনাতলাটাও এক। মাঝে শুধু দুটো একটা পাঁচিল। দুজনই বিয়ে করছেন অন্যজনকে। বিয়ে এভাবই চলতে থাকে। সিঁদুরদানের সময় উপস্থিত হতেই পর্ণা মনে মনে বলে এবার তো চোখ খুলুন সৃজনবাবু। নাহলে সব শেষ হয়ে যাবে।

কিন্তু সিঁদুরদানের সময় ঘটল ধামাকা। পর্ণাকে সিঁদুর পরাতে দিলো না সৃজন। সে মনে মনে ভাবে পর্ণাকে ছাড়া তাঁর জীবন এমনিতেই দুঃসহ হয়ে উঠবে। তাই যাই হয়ে যাক তাঁকে এই নিয়ে আটকাতেই হবে। পর্ণাকে অন্য কারোর স্ত্রী হিসেবে দেখতে পারবে না সে। তাই বিয়ের মণ্ডপে সবার সামনে সত্যিই বলে সে। পর্ণা বুঝতে পারে ইশার চক্রান্ত।

আরও পড়ুনঃ মিঠাইয়ের আসল সত্যি সামনে আনল “সোমদা”! কী বিস্ফোরক দাবি করল?

সৃজন তাঁর মা কৃষ্ণাকে বলে, ‘মা, তোমার থেকে অনেক বেশি আমায় পর্ণা ভালবাসে।’ সৃজনের মুখে একথা শুনে তাঁর মা বুঝতে পারেনা কি বলবে। এদিকে ইশা নিজের বাড়িতে এসে কাঁদতে কাঁদতে ভাবতে থাকে এই প্রতিটা থাপ্পরের প্রতিশোধ তুলবো আমি। আমি পর্ণার জীবন দুর্বিষহ করে তুলবো।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।