এই মুহূর্তে জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় অন্যতম জনপ্রিয় এবং বাস্তবধর্মী ধারাবাহিক হচ্ছে নিম ফুলের মধু (Neem Phuler Madhu) ধারাবাহিকটি। বিভিন্ন সময় এই ধারাবাহিকের বিভিন্ন পর্ব দর্শকদের মন জিতে নিয়েছে। বিশেষ করে এই ধারাবাহিকটির বাস্তবধর্মী গল্প দর্শকদের ভীষণ রকমের প্রিয়। আর সেই সঙ্গে এই ধারাবাহিকের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনয়।
এই ধারাবাহিকটি শুরুর দিন থেকেই দর্শকদের মনে রাজত্ব করা শুরু করে দিয়েছিল ধারাবাহিক নিম ফুলের মধু। শুরুতে সেকেলে মানসিকতার শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে তীব্র মানসিক লড়াই, তাঁর ওপরে ছেলে ভক্ত শাশুড়ি, বাড়িতে শত্রুরও অভাব নেই আর এই সমস্ত বাধা বিপত্তির মুখোমুখি হয়েছে এবং ভেঙেছে সামাজিক এবং পারিবারিক গোঁড়ামি।
এই ধারাবাহিকের যারা নিয়মিত দর্শকর তারা জানেন এই ধারাবাহিকের ভিলেন তিন্নির চক্রান্তে চাকরি হারিয়ে অবশেষে বাংলায় চাকরি জোগাড় করতে না পেরে গুজরাটে চাকরি নিয়ে চলে যাচ্ছিল সৃজন। পঞ্চাশ হাজার টাকা মাইনের চাকরি নিয়ে সে বাড়ি ছাড়ছিল। আর নিজের বরকে আটকাতে বেশ বড়সড় একটা রিস্ক নিয়ে ফেলে সৃজন।
একটা বিরাট বড় ঝুঁকির কাজ করে ফেলে পর্ণা। সে নিজের বান্ধবী রুচিরাকে দিয়ে ‘নিউ জার্নি’ বলে ভুয়ো সংস্থা খুলিয়ে ভুয়ো অ্যাপ্লিকেশন লেটার লিখিয়ে সৃজনকে ৫০ হাজার টাকার মাইনেতেই আটকে রাখে কলকাতায়। আর নিজে ভোল বদলে হয়ে যায় কম্পানির মালিক। নিয়ে ফেলে সৃজনের ইন্টারভিউ। পর্ণা নাম বদলে হয়ে যায় বিপাশা ব্যানার্জি।
সৃজনকে আটকাতে পর্ণা ঠিক করে তার এই নতুন সংস্থা হবে শাড়ির। আর সেই কোম্পানিরই কলকাতার ব্রাঞ্চের হেড করা হয় সৃজনকে। আর সৃজনকে আটকাতে নতুন চাকরির মাইনে দেওয়ার জন্য জগুদাদাকে বলে নিজের বাপের বাড়ির দেওয়া বিয়ের গয়নাও বিক্রি করে দেয় পর্ণা। হ্যাঁ সত্যিকার অর্থেই বিরাট বড় রিস্ক নিয়েছে পর্ণা। যদিও নিজের নতুন চাকরির জন্য প্রাণপাত করছে সৃজন। সঙ্গে রয়েছে পর্ণাও। তাঁরা দুজনে মিলে শাড়ি পছন্দ করে শাড়ির ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। যদিও এই ভুয়ো চাকরির বিষয়ে একেবারেই অবগত নয় সৃজন। কিন্তু জানতে পারলে তো বাঁধবে কুরুক্ষেত্র! ভয়ে বুক দুরু দুরু পর্ণার।
View this post on Instagram