Bangla Serial

নতুন টুইস্ট! সৃজন-পর্ণার প্রেমে আর মন মজছে না দর্শকদের! টিআরপি টানতে ‘নিম ফুলের মধু’তে আসছে নতুন জুটি

উত্তর কলকাতার সম্ভ্রান্ত বনেদি পরিবার, দত্ত পরিবার। এই দত্ত বাড়ির বড় ছেলে সৃজন। যৌথ পরিবারে তাঁর বেড়ে ওঠা। ঘটনাক্রমে তাঁর বিয়ে হয়েছে আলোকপর্ণার সঙ্গে। চার সদস্যের পরিবারের বেড়ে উঠেছে সে। তাই বিয়ের পর নতুন সংসারে মানিয়ে নিতে পর্ণাকে স্ট্রাগল করতে হয়েছে বৈকি!

কীভাবে পর্ণা তাঁর শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে মানিয়ে নেয় এবং কীভাবে সে পরিবার সামলেও নিজের সাংবাদিক হওয়ার স্বপ্নপূরণ করে এই নিয়েই ধারাবাহিকের গল্প। উপরি পাওনা পর্ণা ও সৃজনের প্রেমের গল্প ও তাঁদের সম্পর্কের ওঠাপড়া। এই মুহূর্তে জি বাংলার (Zee Bangla) ‘নিম ফুলের মধু’তে (Neem Phuler Modhu) চলছে টানটান পর্ব।

রুচিরার কিডন্যাপের পর কি অস্থিরতাটাই না গেছে। রীতিমত তদন্ত করে রুচিরা অন্তর্ধান রহস্যের কিনারা করেছে পর্ণা আর সৃজন। রনিকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে দত্তবাড়িতে ফিরে এসেছে তাঁরা। আর রুচি ফিরতেই আনন্দে মাতোয়ারা দত্ত বাড়ির লোক। এই মুহূর্তে উত্তর কলকাতার বনেদি বাড়ির দালানে বইছে খুশির হাওয়া। রুচি ফেরার আনন্দে রীতিমতো আয়োজন হয়েছে এলাহি খাওয়া দাওয়ার।

এইসবের পর কাছাকাছি এসেছে পর্ণা আর সৃজন। সম্প্রতি সম্প্রচারিত তাঁদের প্রেম মাখা দৃশ্য বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। টিআরপিও বেড়েছে এক ধাক্কায়। তবে এবার গল্পে আসবে নতুন টুইস্ট। সৃজনের ভাই আর বর্ষার মধ্যে শুরু হবে নতুন কেমিস্ট্রি।

সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, খাবার ঘরে খেতে খেতেই পর্ণার সঙ্গে ফোনে কথা বলছে সৃজন। আর তখনই সৃজনের বোন বর্ষা না খেয়ে দৌড়ে বাইরে পালিয়ে যাচ্ছে। পিছনে ছুটছে পর্ণার ভাই। দুজনকে এভাবে ছুটতে দেখে কৃষ্ণা। মনে মনে ভাবে, ‘পর্ণা আমার ছেলের মাথাটা খেয়েছে। এবার ভাইকে লেলিয়ে দিয়েছে আমার মেয়ের মাথাটা খেতে।’

srijans sister and parnas brother in neem phuler modhu

আরও পড়ুনঃ টলিপাড়ায় ফের বিয়ে! এবার বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন জি বাংলার এই জনপ্রিয় নায়িকা! পাত্র কে?

তাহলে কি এবার নতুন করে শুরু হবে পর্ণার ভাই আর বর্ষার নতুন প্রেমের গল্প? এই প্রেম কেমন লাগবে দর্শকদের? নাকি দুজনের মধ্যে মিষ্টি বন্ধুত্বকে কটু চোখে দেখছে কৃষ্ণা? এমনটা আসলে কিছুই নয়। দর্শক টানতে ধারাবাহিকের গল্পে নয়া চমক মাত্র?

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র।