অন্যান্য বছর গুলির মতো এই বছরও আয়োজিত হয়েছিল জি বাংলার সোনার সংসার অ্যাওয়ার্ড(Zee Bangla Sonar sansar award)। দর্শকদের মনোরঞ্জনে কোনও খামতি রাখেনা এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সেরাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বিজয়ীর সম্মান। এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটিতে বর্তমান এবং অতীতের বিভিন্ন তারকার সমাগম হয়। এবারেও তার অন্যথা হয়নি।
উল্লেখ্য, এই আনন্দঘন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন জি পরিবারের সমস্ত সদস্যরা। ওই দিন অনেকের হাতেই ওঠে পুরস্কার। গতকাল জি বাংলার পর্দায় টেলিকাস্ট হয় এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি। এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে একটি ধারাবাহিকের সঙ্গে অন্যান্য ধারাবাহিকের তুমুল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে। এই অনুষ্ঠান মঞ্চে পুরস্কার নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চলে হাসি, মজা, খুনসুটি।
এই বছর এই মঞ্চ আলোকিত করে উপস্থিত হয়েছিলেন টলিউড তারকা শুভশ্রী গাঙ্গুলী। তাঁর হাত থেকেই পুরস্কার নেন নিম ফুলের মধু ধারাবাহিক খ্যাত অভিনেত্রী পর্ণা ওরফে পল্লবী শর্মা। সেরা মেয়ের পুরস্কার পান তিনি। জানেন অভিনেত্রী অ্যাওয়ার্ড নিতে মঞ্চে উঠলে শুভশ্রী কি শিখতে চাইলেন তাঁর থেকে? আসলে শুভশ্রী পর্ণাকে অনুরোধ করেন পর্ণা যেন তাঁর বিখ্যাত সতীন কাটা মন্ত্র সকলকে শুনিয়ে দিয়ে যায়। যথারীতি পর্ণা ওরফে অভিনেত্রী পল্লবী শর্মাও মুখস্থ সেই মন্ত্র গড়গড় করে বলে দেন সবাইকে।
আসলে নিম ফুলের মধু ধারাবাহিকের গল্পটা এতটাই বাস্তবসম্মত যে অনেক মানুষ এই গল্পের সঙ্গে নিজেদের বাস্তব জীবনের মিল খুঁজে পেয়েছেন। মা এবং মেয়েরা এই গল্পের সঙ্গে দারুণ মিল খুঁজে পেয়েছেন। বিশেষ করে নজর কেড়েছে পর্ণা। বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে পড়েও তাঁর উপস্থিত বুদ্ধির তারিফ না করে পারছেন না দর্শকরা।
শুরু থেকেই পর্ণা বাড়ির বড় জা এবং শ্বাশুড়ি’র কাছে হেনস্থার শিকার হচ্ছিল। যে দত্ত বাড়িতে কেউ কখনও চাকরি করেনি সেটা করে দেখিয়েছে পর্ণা। দত্ত বাড়ির অচলায়তনকে ভেঙে চলেছে সে। বর্তমানে এই ধারাবাহিককেও পরকীয়ায় এসে হাজির। আসলে সৃজনের বড় বৌদি মৌমিতার বোন তিন্নির সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল সৃজনের। কিন্তু পর্ণার সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায় কৃষ্ণার বাবুউউর। আর তাই কৃষ্ণা এবং মৌমিতা মিলে তিন্নিকে সৃজনের কাছে ঠেলছে। যথারীতি সৃজনকে পেতে উঠে পড়ে লেগেছে তিন্নিও। যদিও প্রতিবাদী পর্ণা কাপালিক সেজে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে। আসলে সতীন কাঁটা মন্ত্র পর্ণা আর ঠাম্মির মস্তিষ্ক প্রসূত। এই সতীন কাঁটা মন্ত্র দিয়ে সাময়িকভাবে তিন্নিকে দূরে রাখা হয়েছিল পর্ণার থেকে। এই মন্ত্র পড়ে দিয়ে তিন্নিকে ভয় পাইয়ে সৃজনের থেকে দূরে রাখার ভাবনা ছিল পর্ণার, যা সাময়িক ভাবে কাজ করেছিল।
আর এবার পর্ণার থেকে সেই মন্ত্রই শিখতে চাইলেন শুভশ্রী। আসলে পর্ণার এই মন্ত্র একবার পড়ে দিলেই বর বা আপনার বয়ফ্রেন্ডের চারপাশে ঘোরা অযাচিত মেয়েদের দূরে সরানো যাবে। আর তাই শুভশ্রী মনে করেন প্রত্যেক মেয়েরই এই মন্ত্রটা শিখে রাখা উচিত। তা তিনিও কী রাজের ঘাড় থেকে কাউকে নামাতে চাইছেন?