Bangla Serial

‘মনের কথায়’ ধু’ন্ধু’মা’র! বিপাশার সঙ্গে ডিভোর্সের পরই চন্দনকে উচিত শি’ক্ষা দিল শিমুল, সুচরিতারা!

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha)। ধারাবাহিকের প্রথম থেকেই কেন্দ্রে রয়েছে চার বান্ধবীর গল্প। পড়শি চার বন্ধু শিমুল বিপাশা সুচরিতা ও শীর্ষা সর্বদাই একে অপরের পাশে থাকে। প্রত্যেকের জীবনে পালা করে বিপ’দ আসলেও চারজন হাত ছা’ড়ে’না একে অপরের। সম্প্রতি দেখা যায় স্বামীর পর’কী’য়ায় বিপাশার জীবন তো’ল’পাড় হয়ে গেছে। চন্দন বিপাশাকে যেভাবে ঠ’কি’য়েছে, তার জন্য বিপাশার ডি’ভো’র্স হতেই, উচিত শি’ক্ষা দিল শিমুল, সুচরিতা।

‘মনের কথা’ ধারাবাহিকের বিগত পর্বে আমরা দেখেছি শিমুলের তৎ’পর’তায় চন্দনের মু’খো’শ খ’সে যায় বিপাশার সামনে। বিপাশার আ’ড়া’লে একটা আস্ত সংসার গড়ে তুলেছে সে। যে চন্দন ছিল বিপাশার সব, সে তাকে ঠকিয়ে দিনের পর দিন পর’কী’য়ায় মজে’ছে। এমন একটা ধা’ক্কা স’হ্য করতে পারেনা বিপাশা। তবু শক্ত হাতে হাল ধরে জীবনের। শ্বশুর বাড়িতেই থাকবে বলে স্থির করে সে।

এদিকে চন্দন ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী মধুমিতার ছোট্ট সন্তানের মুখ চেয়ে ডিভো’র্সের চিন্তাভাবনা করে বিপাশা। প্রাথমিকভাবে সে ডিভো’র্স দিতে নারাজ থাকলেও অবশেষে কাগজে-কলমে চন্দনের সঙ্গে বিবাহিত জীবনের ই’তি টানে সে। ডিভোর্সের দিন উকিল বিচ্ছে’দের কারণ জিজ্ঞাসা করলে, সত্য স্বীকার করে চন্দন। সে বলে, অনি’চ্ছাকৃ’ত ভাবেই মধুমিতার সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছিল তার।

চন্দনের পর’কী’য়ার কথা শুনে উকিল বলেন, সব দোষ চন্দনেরই। তবে বর্তমানে এমন একটি পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে, যেখানে চন্দন হাজারবার ক্ষমা চাইলেও বিপাশা তাকে ক্ষমা না করে বি’চ্ছে’দের পাতায় স্বাক্ষর করে দেয়। নিজের বিবাহিত জীবন শে’ষ করে চোখ ভিজে উঠলেও নিজেকে সামলে নিয়ে বান্ধবীদের কাছে ফিরে আসে বিপাশা। সে সে জানায়, নিজের জন্য একটা চাকরির বন্দবস্ত করছে সে।

আরও পড়ুন: নতুন ধারাবাহিকের অফার ফে’রা’লেন পায়েল! মা কালীর চরিত্রে এবার দর্শক মা’তা’বেন এই জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী!

অন্যদিকে বিপাশা আসার আগে তার শাশুড়ি কা’ন্না’কাটি জুড়েছিল বলে আসতে দেরি হয়ে যায় বিপাশার। বিপাশা আসার পর চন্দন এসে দাঁড়াতে শিমুল ও সুচরিতা ধু’য়ে দেয় চন্দনকে। মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে থাকে চন্দন। মুখে কোনও ভাষা থাকে না উত্তর দেওয়ার। শিমুল ও সুচরিতা বাক্যবাণ থামায় না। উল্টে তাঁরা বলে, চন্দন যে নোং’রা কাজ করেছে, তার উচিত শা’স্তি সে পাবে।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র।