তিনি বাঙালির অন্যতম প্রিয় অভিনেত্রী-সঞ্চালিকা। তবে অভিনয়ের থেকে বেশি ভালো করে তিনি সঞ্চালনার গুরু দায়িত্ব সামলেছেন। এমনটাই বলে থাকেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। সেই সবের পাশাপাশি সফল ব্যবসায়ীও তিনি। অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে সেরা সঞ্চালিকা হিসেবে তার নামই উচ্চারিত হয়। তিনি বাংলার জনপ্রিয় নন ফিকশন শো রান্নাঘরের কর্ত্রী ছিলেন।তিনি অভিনেত্রী সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (Sudipa Chatterjee)।
অভিনেত্রীর বাড়িতে খুব বড় করে দুর্গা পুজো পালন করা হয়। কলকাতায় চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে বিরাট বড় করে দুর্গাপুজোর আরাধনা হয়। এই কটা দিন তারকা মন্ত্রীদের সমাগম থাকে চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে। বাংলাদেশের ঢাকায় ১৫৩ বছরের বেশি পুরনো সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের স্বামী অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজো। তবে বিগত ১২ বছর যাবৎ কলকাতায় তারা মায়ের আরাধনা করছেন। দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে এই কটা দিন সঞ্চালিকার বাড়িতে দারুণ ধুম থাকে।
এই বছরও তার অন্যথা হয়নি। মাতৃ আরাধনায় গমগম করেছে বাড়ি। কিন্তু পুজো পরবর্তী অভিনেত্রীর বাড়িতে ঘটে গেছে এক বড় দুর্ঘটনা। বলা যায় অঘটন। সন্তানশোকে কাতর অভিনেত্রী সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। মায়ের বিসর্জনের সঙ্গে সঙ্গেই পরিবার নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পোষ্য ভানুর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিলেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। সেই সময় তিনি রাতে দুচোখের পাতা এক করতে পারতেন না। নিজের জীবন স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে আরও একটি পোষ্যকে নিজেদের জীবনে নিয়ে আসেন অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়। তারপর থেকেই ভান্টু আর বাঁটুলকে নিয়ে থাকেন সুদীপা।
আর এবার সেই বাঁটুলকেই হারিয়ে ফেললেন তিনি। ভানুর পর মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ল বাঁটুল। আসলে যে কোনও পোষ্যই পোষ্য পরিবারের সদস্যের মতোই। আর সুদীপা-অগ্নিদেব তো ছিল ওর মা-বাবা। উৎসবের আনন্দকে মলিন করে দিয়ে সকলকে ছেড়ে চলে গেল বাঁটুল।
আরও পড়ুনঃ অবশেষে জি বাংলা ছেড়ে স্টার জলসায় ধারাবাহিকে ফিরছে ‘মিঠাই’ সৌমীতৃষা! নায়ক আদৃত নয়
সোশ্যাল মিডিয়ায় সাদা-কালো ছবি পোস্ট করে অভিনত্রী লিখেছেন, ‘আমরা তোমাকে ভুলব না। রামধনুর পথে আমরা আবার তোমার সঙ্গে দেখা করবে। স্বর্গের কাছাকাছি কোথাও আবার আমাদের দেখা হবে। মা ও বাবা তোমায় খুব ভালোবাসে। যদি পারো ফিরে এসো। মা-বাবা তোমাকে খুব মিস করবে বাঁটুল।’
View this post on Instagram