Bangla Serial

শৌর্য্যর কাছে মি’থ্যে বলে চর’ম ফ্যাঁ’সা’দে নীলু! ডোরার মুখে সব সত্যি জেনে রে’গে কাঁ’ই শৌর্য্য! এবার কি তবে ঘা’ড় ধা’ক্কা খাবে নীলু?

Mithijhora: কথায় আছে শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না… তেমনই একটা মি’থ্যে ঢাকতে আশ্রয় নিতে হয় অন্য মিথ্যের। কথায় কথায় মি’থ্যে’র জা’ল বুন’তে বুন’তে কখন মানুষ নিজে সেই জা’লে জড়িয়ে পড়ে তা বোঝাও যায় না। যখন বোধোদয় হয়, তখন অনেকটা দেরি হয়ে যায়। জি বাংলার (Zee Bangla) ধারাবাহিক ‘মিঠিঝোরা’-এ (Mithijhora) মেজ বোন নীলুর সঙ্গে ঠিক তেমনটাই হয়েছে।

উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী, মিঠিঝোরার তিন বোনের প্রত্যেকেই কোন‌ও না কোন‌ও সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলেছে। কারর জীবন‌ই সরলরেখায় এগোচ্ছে না। তিন বোনের জীবনে হাজারো বা’ধা-বি’পত্তি। বিপ’ত্তির যেন শেষ নেই। তবে তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিপ’দের মধ্যে রয়েছে নীলু। নিজের দোষে নিজের সর্বনাশ ডেকে এনেছে সে।

ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক পর্বে দেখা যাচ্ছে বাড়ির সকলে একসঙ্গে খেতে বসেছে। খাবার টেবিলে ডোরা বলে, “আমি বুঝতে পারছি না নিজের স্বামীর সঙ্গে ডাক্তারের কাছে যেতে নীলুর ঠিক কি সমস্যা হচ্ছে। নীলু কি কিছু লুকা’তে চাইছে? আমি আসলে ওকে পুরো একশ শতাংশ বিশ্বাস করতে পারিনা। ও আগে যা যা ঘটিয়েছে, তাই বেশ সন্দেহ হচ্ছে।” যদিও শৌর্য্য বরাবর ডোরার কথার বিরো’ধিতা করে আসে। যা দেখে খারাপ লাগে নী’লুর। মনে মনে ভাবে,“এই মি’থ্যে’র জা’ল কেটে যে কীভাবে বেরোব কিছুই বুঝতে পারছি না। শৌর্য্য আমার জন্য লড়া’ই করে যাচ্ছে। এই মি’থ্যে’টা যে কেন‌ও বলতে গেলাম।”

অপরদিকে স্রোত আর রাই গিয়েছে প্রিন্সিপালের কাছে। নিজেদের সমস্যার কথা খুলে বলতে চায় তারা। রাই প্রিন্সিপালকে বলে,“আমার বোনটা কখন‌ও কলেজ কামাই করে না, সেখানে ও কলেজ না গিয়ে বাড়িতে বসে আছে। ওর মান’সিক স্বা’স্থ্যের উপর কতটা প্রভাব ফেলেছেন ওই প্রফেসর, আপনি বুঝতে পারছেন তো? এমন চললে আমি ওঁর বিরু’দ্ধে লি’খিত অভি’যোগে জানাতে বাধ্য হবো।” যদিও স্রোত টিসির জন্য জা’রি জু’ড়ি করতে থাকে। তবে ভবিষ্যতে এই ধরণের ঘটনার পু’নরা’বৃত্তি হবে না শুনে নিশ্চিন্ত হয়ে স্রোতকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যায় রাই।

আরো পড়ুন: টিআরপি তালিকায় কা’মাল! জ্যাস-ফুলকিকে প’রা’স্ত করে কি’স্তি’মাত করল নতুন মা পর্ণা! শুরুতেই চমক অষ্টমীর

এদিকে, অনির্বানের সঙ্গে মিষ্টি সম্প’র্ক গড়ে উঠছে রাইয়ের। রবিবার দিন অনির্বাণ তার হাতের রান্নার খেতে চেয়েছে। কিন্তু বসের বাড়ি গিয়ে রান্না করাটা বাড়াবাড়ি। অফিসের কেউ জানলে বাঁ’কা কথা শোনাতে ছাড়বে না। তাহলে কি করা যায়? কীভাবে এদিনের প্ল্যানটা কাটাবে রাই? তখনই তার ফোনে অনির্বানের মেসেজ আসে। লেখা, ‘চিংড়ি মাছের মালাইকারি জন্য কোন চিংড়ি আনা উচিত?’ রাই বুঝে যায় অনেক আশা নিয়ে বসে আছে অনির্বাণ। তাই এবার তাকে এড়িয়ে যাওয়া দু’ষ্কর। এবার কি করবে রাই?

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী।