এবার মিশকার পাতা ফাঁদে খোদ মিশকাই পড়ল। দিপাকে মারতে গিয়ে নিজেই মৃত্যুর মুখে এসে দাঁড়ালো। সম্প্রতি ‘অনুরাগের ছোঁয়া’তে (Anurager Chhowa) আসছে একের পর এক ধামাকাদার পর্ব। স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় এক চর্চিত ধারাবাহিক হল ‘অনুরাগের ছোঁয়া’। দর্শক চাইলেও লেখক এখনই সূর্য (Surjyo) ও দীপার (Deepa) মিল করাতে প্রস্তুত নয়। তিনি গল্পে আনতে চান আরও ট্যুইস্ট। সূর্য ও দীপার মধ্যে সমস্যার দরুন কষ্ট পাচ্ছে তাদের খুদে দুই সন্তান। একদিকে রূপা (Rupa)সকল সত্যি জানার পরও নিজের বাবাকে অর্থাৎ সূর্যকে বাবা বলে ডাকতে পারছে না।
অন্যদিকে সোনা (Sona) নিজের মা অর্থাৎ দীপার কাছে যেতে পারছে না। দীপা ও সূর্যের মাঝে পড়ে এখন তাদের দুই খুদে সন্তানের শোচনীয় মানসিক অবস্থা। সেনগুপ্ত বাড়ির সকলেই চাইছে যাতে সূর্য-দীপা এক হয়। এদিকে মিশকা দিনের পর দিন সূর্যকে ঠকিয়ে চলেছে। আর সূর্য তারই কথা বিশ্বাস করে চলেছে। উল্লেখ্য, প্রথম থেকেই বাংলার সেরা তকমা পেয়ে আসছে এই ধারাবাহিক। যদিও বর্তমানে একইরকমের কিছু পর্বের জন্য বোরিং হয়ে উঠেছে ধারাবাহিক। বারংবার শোনা গিয়েছে, গল্পে খুব শীঘ্রই আসবে নতুন মোড়। কিন্তু দর্শকদের সেই আশা ভঙ্গ হয়েছে।
সত্যের মুখোমুখি সূর্য
দীপার প্রতি ভালোবাসা থাকলেও পুরোনো কথাকে নিয়েই সে দীপার প্রতি এখনও রেগে। প্রথম থেকেই সূর্য ও দীপার মধ্যে এই দূরত্ব তৈরী হওয়ার কারণ মিশকা, যে সূর্যের বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল। সম্প্রতি সূর্য জেনে গিয়েছে সোনা ও রূপা দীপার সন্তান। কিন্তু তাদের বাবা যে সূর্যই, তা সে মানতে চায় না। মিশকার কথায় সে ভাবে, দুজনে কবিরের সন্তান। কারণ বেশ কিছু বছর আগে সূর্যের করানো রিপোর্ট বদলে দিয়েছিল মিশকা, আর তাতে লেখা ছিল সূর্য কোনোদিনও বাবা হতে পারবে না। সন্তানদের সম্পর্কে সব সত্যি কথা শুনে সূর্য সকলের উপর আরও রেগে যায়। এমনকি সোনা ও রূপাকে দীপার থেকে আলাদা করার কথাও সে ভাবে।
দীপার রুদ্ররূপ
সূর্য সোনা-রূপাকে ভালোবাসা সত্ত্বেও কিছু ভুল ধারণার জেরে সোনা-রূপাকে নিজের সন্তান হিসাবে মেনে নিতে চাইছে না। বরঞ্চ দীপাকেই দায় করছে তার থেকে সোনাকে কেড়ে নেওয়ার জন্য। এদিকে সূর্য সকলের সামনে নিজের নতুন সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে। সূর্য মিশকাকে বিয়ে করতে চায়। মিশকার সাথেই নতুন জীবন শুরু করতে চায়। বেস্ট ডাক্তার হিসাবে সূর্যকে পুরস্কৃত করা হলে স্টেজে সকলের সামনে সোনা সব সত্যি বলে দেয়। যা শুনে সূর্যকে মিডিয়ার সামনে বহু প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। সূর্য সেই মুহূর্তে সেখান থেকে রেগে বেরিয়ে বারে যায়, জয় তাকে বারণ করলেও সে শোনে না।
নিজের পাতা ফাঁদে পড়ে গেল মিশকা নিজেই
মিশকা সূর্যকে ইচ্ছা করে নেশার মধ্যেই ডুবিয়ে রাখতে চায়। এদিকে দীপা এসব দেখে রুদ্র মূর্তি ধারণ করল। লাবন্যকে এসবের জন্য দায়ী করে সোনার সমস্ত জিনিস নিয়ে চলে যেতে চাইল দীপা। এদিকে মিশকা সূর্যকে নেশাগ্রস্ত করে দিয়ে তার কাছে আসার চেষ্টা করে। মিশকা দীপাকে সারাজীবনের জন্য সূর্যের থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য সূর্যকে বন্দুক ধরিয়ে বলে দীপাকে গুলি করতে। মিশকা ভাবে যে দীপাকে গুলি করে সূর্য জেলে যাবে। তখন তার পাশে দাঁড়িয়ে তাকে জেল থেকে বের করে আনবে মিশকা। এতে সূর্য মিশকার আরও কাছে আসবে। কিন্তু মিশকার চাল উল্টে যায়। সূর্য নেশার ঘোরে মিশকাকেই দীপা ভেবে গুলি করতে যায়। তবে কি মিশকা নিজের পাতা ফাঁদে নিজেই ফেঁসে সব সত্যি কথা বলে দেবে সূর্যকে?
View this post on Instagram