পরিবারের থেকে দূরে সরে গিয়ে ক্রমশ খিটখিটে হয়ে পড়ছে সূর্য। নিজের ইচ্ছায় সেনগুপ্ত পরিবার, দীপা আর সন্তানদের থেকে আলাদা থাকে সে। কাউকে জানতে দিতে চায় না তার ঠিকানা। মিশকার প্ররোচনায় নিজের স্ত্রী আর সন্তানদের সঙ্গে যে অপরাধ করেছে, তার জন্য বিবেক দংশনে জর্জরিত সে। পশ্চিমের কোনো একটি গ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গ্রামের গরীব লোকেদের চিকিৎসা করে দিন কাটে তার। সূর্য-দীপা আলাদা হয়ে যাওয়ার পর তাদের জীবনের করুণ পরিণতির গল্প নিয়ে রমরমিয়ে চলছে স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chowwa)।
ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী, সূর্যকে খুশি করতে যারপরনাই চেষ্টা করছে লালী আর ইরা। সূর্যের ঘর ফুল দিয়ে সাজিয়েছে দুজন। কিন্তু নিজের ঘর ফুল দিয়ে সাজানো দেখে চোটে ওঠে সে। দীপার কথা মনে পড়ে যায় সূর্যের। রেগে গিয়ে ইরা আর লালীর আনা ফুল ছিঁড়ে ফেলে সূর্য। আছড়ে মারে মাটিতে।
সূর্যকে এরকম ব্যবহার দেখে ভয় পেয়ে যায় লালী। ইরাও কেঁদে ফেলে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সূর্যের মন ভাল করা। কিন্তু এ কেমন ব্যবহার সূর্যের! ধমক দিয়ে দুজনকেই বেরিয়ে যেতে বলে সূর্য। লালী হাত ধরে ইরাকে টেনে বের করে নেয়।
পর মুহূর্তেই, ছোট্ট লালীর কথা ভেবে মন খারাপ হয়ে যায় সূর্যের। খোঁজ করতে থাকে লালীর। কিন্তু কোনো গ্রামবাসী তার সঙ্গে কথা বলতে চায় না। সূর্য বুঝতে পারে কোনো কারণে সকলে রেগে আছে তার উপর। লালীর বাবার সঙ্গে দেখা হলে সে বলে, ডাক্তারবাবুর মনে যে কষ্ট আছে সকলে বুঝতে পারে। কিন্তু কারর সঙ্গে মনের কথা ভাগ করেনা সূর্য।প্রত্যুত্তরে সূর্য একটাই কথা বলে, তার কেউ নেই। জীবনে কাউকেই রাখতে চায় না সে।
তবে ইরা লালীর সঙ্গে আজকে যে ব্যবহার সূর্য করেছে তা কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। গ্রামের সকলে ভেবেছিল হয়ত ইরা আসার পর সূর্য তার মনের কথা কাউকে বলতে পারবে। হালকা হবে ডাক্তারবাবুর মন। কিন্তু সূর্য যেন সবেতেই রগচটা। তবে এবার ইরা আর সূর্যের সম্পর্ক কোনদিকে মোড় নেবে জানতে হলে চোখ রাখতে হবে স্টার জলসার পর্দায়।