Bangla Serial

আপাদমস্তক ‘ভে’ড়া’ ছেলে! পর্ণার মতো ঝকঝকে মেয়ের নায়ক হিসেবে সৃজনের মতো মা’থা’মো’টা ছেলেকে মানতে নারাজ দর্শকরা!

বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে বাংলা টেলিভিশনের (Bengali Television) দুনিয়ায় অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিকের নাম অবশ্যই নিম ফুলের মধু (Neem Phooler Madhu) । বাঙালি দর্শকরা মুগ্ধ দৃষ্টিতে এই ধারাবাহিকটি দেখছেন কারণ এই ধারাবাহিকের গল্প দারুণ রকম ভাবে দর্শককে উচ্ছ্বসিত করেছে।

টিআরপি তালিকাতেও দারুণ কামাল করছিল এই ধারাবাহিকটি। তবে চলতি সপ্তাহের টিআরপি তালিকা অনুযায়ী এই ধারাবাহিকটি একটু পিছিয়ে পড়েছে। একটা সময় প্রথম, দ্বিতীয় স্থানে রাজত্ব করা এই ধারাবাহিকটি এই মুহূর্তে নেমে গেছে চতুর্থ স্থানে। বাঙালি দর্শকরা বিমুগ্ধ দৃষ্টিতে এই ধারাবাহিকটি দেখে চলেছেন।

আরো পড়ুন:পরাগের বিয়েতে মনখারাপ শিমুলের! ‘মেয়ের’ মনের কথা টের পেয়ে ছেলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মধুবালা দেবী

বারবার দত্ত বাড়ির অচলায়তনকে ভেঙেছে পর্ণা। বিভিন্ন সময়ে নিজের শ্বশুরবাড়িকে বিভিন্ন বড় বড় বিপদের হাত থেকে বাঁচিয়েছে সে। কিন্তু কখনই জিততে পারেনি নিজের স্বামী, শাশুড়ির মন। আসলে মুখে পর্ণাকে ভালোবাসার কথা বললেও মন থেকে একেবারেই বিশ্বাস করতে পারেনা সৃজন।

আর তাই বারবার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরপুরুষকে কেন্দ্র করে পর্ণাকে সন্দেহ করে সে। সম্প্রতি সে পর্ণার বন্ধু অনুভবকে কেন্দ্র করে পর্ণাকে সন্দেহ করা শুরু করে।‌ এমনকি পর্ণা ফটোশুট করতে অনুভবের সঙ্গে গেলে তার ওপর নজরদারি করতেও চলে যায় সৃজন।

তবে সম্প্রতি পর্ণার কিছু ছবিকে ঘিরে বেজায় গন্ডগোল শুরু হয়েছে। আর কখনোই কোন‌ও ঝামেলায় সৃজন পর্ণার পাশে থাকে না বরং মায়ের আঁচলের তলায় গিয়ে লুকিয়ে পড়ে। আর নিজের স্ত্রীকে দোষারোপ করতে শুরু করে। পর্ণাকে বিয়ে করে সে ভুল করেছে, মায়ের কথা তার শোনা উচিত ছিল এই সব বড় বড় ডায়লগ দিতে থাকে সে!

আর তাতেই দর্শকরা বলছেন তুমি কে হে? আপাদমস্তক মা’থা’মো’টা, ভে’ড়া ছেলে একটা! যার মাথায় নূন্যতম বুদ্ধি নেই। আর যদি থেকেও থাকে তাহলে সেই বুদ্ধির খরচ নেই। আর সেই বুদ্ধি দিয়েই সে নাকি পর্ণা মতো ঝকঝকে একটা মেয়েকে বিয়ে করেছে।‌ অন্যদিকে দর্শকরা আবার পর্ণার পছন্দ নিয়েও প্রশ্ন করেছেন। যেখানে অনুভবের মতো ছেলে তাকে প্রপোজ করেছিল সেখানে সৃজনের মতো একটা বুদ্ধিহীন ছেলেকে তার কি করে পছন্দ হলো সেটা নিয়েও দর্শক মনে এখন বেজায় প্রশ্ন রয়েছে!

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।