অবশেষে গিনি (Gini) ও রূপের (Roop) বিয়ে সম্পন্ন হল। মেঘের (Megh) হাজারো চেষ্টার পরও বিয়েটা সে আটকাতে পারলো না। ময়ূরী (Mayuri) ইচ্ছা করে গিনির জীবনটা বিপন্নের দিকে ঠেলে দিল। ময়ূরী ভেবেছে গিনির বিয়েটা সম্পন্ন হলেই নীলের (Neel) সঙ্গে ময়ূরীর বিয়েটা হয়ে যাবে। আর তাই রূপকে বুঝিয়ে সম্পত্তির লোভ দেখিয়ে বিয়েটা করতে বাধ্য করল। রূপ একটি লম্পট ছেলে। সে গিনিকে ভালোবাসে না।
মেঘ রূপের আসল চেহারা অনেকবার সকলের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ময়ূরীর চক্রান্তে মেঘ নিজেই সকলের সামনে অপমানিত হয়েছে। গিনি মেঘের কোনও কথায় বিশ্বাস করেনি। এদিকে রূপের আসল চেহারা দিনে দিনে প্রকাশ পাচ্ছে। বিয়ের দিন রূপের আচরণ দেখে কিছুটা সন্দেহ আগেই করেছিল মিলি। কিন্তু বিয়েটা কোনো না কোনোভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
গিনি রূপের প্রেমে অন্ধ। রূপের আচরণে পরিবর্তন দেখা সত্ত্বেও রূপকে বিশ্বাস করে গিয়েছে গিনি। কিন্তু খুব শীঘ্রই গিনির কাছে রূপের আসল মুখোশ প্রকাশ পাবে। রূপ শুধু অপেক্ষায় ছিল বিয়েটা হওয়ার। ধীরে ধীরে গিনির সামনে রূপের দুশ্চরিত্রের পর্দা ফাঁস হবে। যদিও সেটা হতে হয়তো অনেক দেরি হয়ে যাবে। এদিকে মেঘের কথা অবিশ্বাস করে নীল মেঘকে ডিভোর্স দিয়ে ময়ূরীকে বিয়ে করবে বলে ঠিক করে।
ঠাম্মির বহুবার অনুরোধের কারণে মেঘ গিনির বিয়েতে আসতে বাধ্য হয়। বিদায়ের সময় ঠাম্মির কথায় মেঘ গিনিকে আশীর্বাদ করতে গিয়ে মেঘ বলে, কিছুতেই এই বিয়েটা আটকাতে পারলো না সে। মেঘের মুখে এই কথা শুনে গিনির রেগে গিয়ে মেঘকে বলে, যে মেঘ সংসার করতে পারেনি বলে কেউ কি পারবে না। নীল গিনির কথায় একমত হয়, এমনসময় মেঘের বন্ধু জিষ্ণুর ফোন আসে। নীল রেগে সেই ফোনটা তুললে জিষ্ণু বলে, সে বিয়েবাড়ির সামনেই আছে, মেঘ যেন চলে আসে।
ময়ূরী নীলের মাথায় ঢুকিয়েছে, মেঘের নতুন বয়ফ্রেন্ড জিষ্ণু। যদিও জিষ্ণু মেঘের ভালো বন্ধু। কিন্তু ময়ূরীর কথায় নীল মেঘকে সন্দেহ করে বারংবার অপমান করেছে। জিষ্ণুর ফোন আসতে নীল আবারও মেঘকে অপমান করলে মেঘ নীলের উপর চড়াও হয়। সে নীলকে বলে, নিজেকে পরিষ্কার দেখানোর জন্য মেঘের উপর নীল কাদা ছেটাচ্ছে। তাই সে আজ আরও ভালো করে বুঝেছে, মেঘ যে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা সে ঠিকই নিয়েছে। বারংবার অপমানিত হওয়ার পর মেঘ এবার ধীরে ধীরে মুখ খুলতে শুরু করেছে। হয়তো এবার ফাঁস হতে চলেছে আসল সত্যি। সামনে এল পর্দায় ধারাবাহিকের ধামাকাদার প্রোমো।