জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) এসেছে নতুন চমক। ইতিমধ্যেই দেখা গেছে শিমুলের সঙ্গে কথা বলছে শতদ্রু। শিমুল শতদ্রুকে জানিয়ে দেয় সে এখন পরাগের বাড়িতেই আছে। সেটা শুনেই খুব রেগে যায় শতদ্রু। সে বলে শিমুল এরকম কাজ কি করে করতে পারলো। তখন শিমুল শতদ্রুকে বলে তার কাছে আর কোন উপায় ছিল না। সুচরিতাদের বাড়িতেও সে গেছিল কিন্তু থাকতে দেয়নি তাদের।
এমনকি এই পাড়ার কোন বাড়িতেই তাদের থাকতে দেয়নি। শিমুল তখন শতদ্রুকে এও জানায় যে সে পরাগের চাকরিটা নিতে চলেছে। সেটার জন্য হয়তো তাকে পরাগকে বিয়ে করতে হতে পারে। সেটা শুনে শতদ্রু বলে সে এখনও পরাগকেই ভালোবাসে। সেটা শুনে তাকে বারণ করে দেয় শিমুল। সে বলে শতদ্রু তাকে ভুল বুঝছেন, সে একেবারেই পরাগকে ভালোবাসে না। সে শুধু তাদের সাহায্য করার জন্যই এইসব করছে।
তখন শতদ্রু বলে যে সবটাই বুঝে গেছে যে তার কোন মূল্য নেই শিমুলের জীবনে। কিন্তু শিমুল বারবার শতদ্রুকে সবটা বোঝানোর চেষ্টা করতে থাকে। শতদ্রু বলে সে তার জন্য সব কিছু করেছে। তার পরিবার ছেড়ে দিয়েছে। এখন তার মাও তাকে আর ভালোবাসে না। তাই সে বাধ্য হয়ে অন্যত্র বাড়ি ভাড়া নিয়েছে। এইসবটাই সে করেছে শিমুলের সঙ্গে তার সম্পর্কের জন্য। কারণ সে শিমুলকে ভালোবাসে আর শিমুল কিনা তার সঙ্গে এইসব করল। তখন শিমুল তাকে বলে সে আলাদা হয়ে যাবে পরাগের থেকে।
শিমুল শতদ্রুকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে সে শুধু ব্যানার্জী পরিবারকে সাহায্য করার জন্য এইসব করছে। আর শতদ্রুর জায়গা তার জীবনে একই আছে কিন্তু শিমুলকে থামিয়ে শতদ্রু বলে দেয় আজ থেকে আর সঙ্গে শিমুলের আর কোন সম্পর্ক নেই। সে আর শিমুলের সঙ্গে কোনরকম দেখা সাক্ষাত করতে চাননা। এই বলেই চলে যায় শতদ্রু। শিমুল তাকে আটকানোর চেষ্টা করে কিন্তু শতদ্রু কোন কথা শোনে না। বাধ্য হয়ে ব্যানার্জী বাড়িতে ফিরে আসে শিমুল। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিল শির্ষা আর সুচরিতা বিপাশার সঙ্গে।
আরো পড়ুন: কেয়া বাত! জগদ্ধাত্রীর আদলে এবার মোবাইল গেম! সর্বোচ্চ স্কোর করলেই পাবেন জ্যাস সান্যালের সঙ্গে দেখা করার সুবর্ণ সুযোগ
অনেকক্ষণ ধরে শির্ষা কিছু বলতে চাইছে দেখে বিপাশা তাকে জিজ্ঞাসা করে সব ঠিক আছে কিনা। তখন বিপাশা বলে ওই বাড়িতে সবাই তাকে মিস করছে কিনা, চন্দন তাকে মিস করছে কিনা তখন শির্ষা বলে কেউ তাকে মিস করছে না। চন্দন মধুরিমাকে আর তাদের মেয়েকে ওই বাড়িতে নিয়ে এসেছে সেটা শুনেই চমকে যায় বিপাশা। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের, এবার কি চন্দনকে ডিভোর্স দিয়ে দেবে বিপাশা নাকি নেওয়া উচিত আরও কড়া পদক্ষেপ।