Bangla Serial

Mukut: ‘কী ভেবেছেন নে’শা’য় বুঁদ করে আজকের প্রজন্মকে শেষ করে দেবেন?’ সত্যি কথা তেতো লাগবেই! মুকুটের বাস্তবধর্মী কথা সামনে আনল সমাজের সমস্যা

বাংলা টেলিভিশন (Bengali Television) দেখা দর্শকদের রুচি নিয়ে কথা বলতে গেলে বলতেই হয় আজকের দিনের ধারাবাহিক প্রেমীরা বাস্তবধর্মী ধারাবাহিকের থেকে বেশি করে আজগুবি ধারাবাহিক দেখতে বেশি পছন্দ করেন। আর ঠিক সেই কারণেই গাঁজাখুরি গল্প দেখানো ধারাবাহিক দীর্ঘদিন ধরে টেলিভিশনের পর্দায় চললেও বাস্তবধর্মী ধারাবাহিক গুলি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

এই যেমন গল্প, অভিনয়ে দর্শকদের মন জিতে নেওয়া ধারাবাহিক মেয়েবেলা (Meyebela) কিছুদিন আগেই জলসার (Star Jalsha) পর্দায় বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যদিকে আবার সদ্য‌ই জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় শুরু হওয়া ব্লুজ প্রোডাকশন হাউসের ধারাবাহিক মুকুট (Mukut) দর্শকদের মন জিতে নিতে সক্ষম হলেও টিআরপি তালিকায় সেই অর্থে প্রভাব ফেলতে পারেনি। আর সেই কারণেই বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে এই ধারাবাহিকটি।

জানা গেছে, জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় সোহাগ জল ধারাবাহিকটি বন্ধের পর আবার‌ও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ২৭শে মার্চ থেকে শুরু হওয়া জি বাংলার অন্যতম ধারাবাহিক মুকুট (Mukut)। এমনকি শোনা যাচ্ছে এই মাসেই নাকি শেষ শুটিং হয়ে যাবে এই ধারাবাহিকটির। দাপুটে অভিনয়ে দর্শকদের মন জিতলেও টিআরপি জিততে পারেননি ‘মুকুট’ (Mukut) ওরফে শ্রাবণী ভূঁইয়া (Shrabani Bhunia)।

নারী পাচার চক্রের মতো সংবেদনশীল বিষয়কে নিয়ে তৈরি হলেও এই ধারাবাহিকটি টিআরপি তালিকায় ক্রমশই ডুবন্ত। আর তাই ভালো অভিনয়, বাস্তব ধর্মী গল্প হাওয়া সত্ত্বেও আজগুবি, গাঁজাখুরি গল্পের সামনে হেরে যেতে হচ্ছে মুকুটকে। সাম্প্রতিক পর্বে দেখা গেছে মদের নেশায় মত্ত ইয়াং জেনারেশন। ঐশীকে বাঁচাতে এসে মুকুটকে বলতে শোনা গেছে, কীভাবে মদ, সিগারেট, গাঁজার নেশায় একটা জেনারেশন সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর যা বর্তমান সমাজের বাস্তব চিত্রটাই তুলে ধরেছে‌।

একজন আর্মি অফিসারের চরিত্রে এই ধারাবাহিকে দারুণ অভিনয় করেছেন জলসার মাধবীলতা খ্যাত অভিনেত্রী শ্রাবণী ভূঁইয়া। স্টার জলসার পর্দায় ভীষণই অল্প সময়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এই ধারাবাহিকটি। সেই ধারাবাহিকেও খুব ভালো অভিনয় করেন তিনি। আর এই ধারাবাহিকেও তাঁর জমাটি অভিনয়ে মুগ্ধ দর্শকরা। যদিও ভক্তদের দুঃখ দিয়ে আর হয়ত কিছুদিনের মধ্যে হয়ে যাবে মুকুট।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।