জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ফুলকি (Phulki)। বর্তমানে ধারাবাহিকটি রয়েছে টিআরপি তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। ধারাবাহিকে জর্জ ফুলকি এবং রোহিতকে ৬ মাসের জন্য সময় দিয়েছে একে অপরের থেকে আলাদা থাকার সেই কথাকে কাজে লাগিয়ে শালিনী আর ঈশিতা চেয়েছিল ফুলকিকে বাড়ির থেকে বের করে দেওয়ার কিন্তু রোহিত তাকে বাধা দেয়। সে বলে সে কিছুতেই ফুলকিকে এই বাড়ির বাইরে যেতে দেবে না। এই বাড়িতে থেকেই ফুলকি তার ট্রেনিং করবে।
ফুলকির স্বামী হিসেবে নয়, একজন কোচ হিসেবে রোহিতের বাড়িতে থাকবে ফুলকি। সেটা শুনে আর কেউ কিছু বলতে পারেনা কিন্তু ট্রেনিংয়ের জন্য ফুলকি তার ট্রেনিংয়ের ঘরে গেলে সে দেখে সেই ঘরটাকে ঈশিতা তার অফিস ঘর বাড়িয়ে দিয়েছে। সেটা দেখে রেগে যায় সকলকে। তখন শালিনী বলে তার সে এইসবটা করেছে। সেটা শুনে সকলকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে রোহিত বলে শালিনী ভুল করেছে ফুলকি এই ঘরে ট্রেনিং করে আর এই ঘরেই করবে। তখন শালিনী বলে সে যা করেছে একদম ঠিক করেছে।
রোহিত তাকে রেগে বলে সে যেন নিজের লিমিটে থাকে নাহলে রোহিত তাকে বের করে দেবে। তখন শালিনী রোহিতকে বলে সে বাড়াবাড়ি করছে কিন্তু তার কোনও কথাই শোনে না রোহিত। তখন শালিনী চলে যায় ঘর থেকে। সে চলে গেলে রোহিত ফুলকিকে ট্রেনিং দিতে শুরু করে দৌড়ের এবং নানা ট্রেনিং হতে শুরু করে ফুলকির। সে সব দেখে রেগে যায় শালিনী এবং ঈশিতাকে সঙ্গে নিয়ে তারা চলে যায় রুদ্রর অফিসের উদ্দেশ্যে।
রুদ্রর কাছে গিয়ে তারা বলে ফুলকি এই বক্সিং ম্যাচটা হেরে গেছে, সেটা শুনে রুদ্র খুশি হয় এবং বলে এটা ভালো খবর। তখন শালিনী বলে খারাপ খবরও আছে রোহিত এবার আবার ফুলকিকে ট্রেনিং দিচ্ছে। সে চায় ফুলকিকে সেরা বক্সার তৈরি করতে। রোহিত অনেক বাড়াবাড়ি করছে। সেটা শুনে রুদ্র শালিনীকে বলে সে এখনও কি চায় তখন শালিনী বলে সে চায় রোহিতকে আবার আগের অবস্থায় দেখতে। সে এখন খুব সাহসী হয়েছে তার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে তাই সেটাকে নষ্ট করতে হবে।
তাই সে এও বলে এইভাবে ফুলকি আর রোহিত আরও কাছে চলে আসছে তাই তাদের দূরে করতে হবে। রুদ্র বলে সে সব ব্যবস্থা করছে। ওদিকে বাড়িতে পারু রোহিতের মাকে কফি দিলে তিনি খেতে না করে দেন। তিনি বলেন কিছু একটা করতে হবে নাহলে ফুলকি আর রোহিত আলাদা হয়ে যাবে। সেটা শুনে ধানু বলে অনেক সময় দম্পতি আলাদা থাকলে সব ঠিক হয়ে যায় কিন্তু তখন রোহিতের মা বলে সে ক্ষেত্রে শালিনীর মতো মেয়ে থাকে না।
আরো পড়ুন: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কী এবার দাঁড়াচ্ছেন রচনা ব্যানার্জি? জল্পনা উস্কে দিলেন খোদ পর্দার দিদি!
তখনই রোহিত নিচে আসে সবাইকে বলে দেয় কাল ফুলকি আর তার ম্যাচ আছে। সেটা শুনে অবাক হয় সবাই তখন শালিনী আসে বলে ফুলকির মধ্যে তেমন গুন নেই কিন্তু ফুলকি বলে সব কথায় সে কান দিতে চায় না। সেটা শুনেই রেগে যায় শালিনী। পরের দিন ম্যাচের সময় ফুলকি ভয় পেয়ে গেলে রোহিত বলে তাকে স্যার নয়, প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখতে। তার ওপর আক্রমণ করতে এবং সাহস রাখতে তখন ফুলকিও তার কথা শুনে রাজি হয়ে যায়। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের এবার কি করবে শালিনী ফুলকি আর রোহিতকে আলাদা করার জন্য।