জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“তোমার আর তিন বেলা খাবারের কথা ভাবতে হবে না!” DBD- এর প্রতিযোগীদের কথা শুনে চোখে জল বিচারকদের, কী বিশেষ ব্যবস্থা নিলেন যীশু?

ডান্স বাংলা ডান্স (Dance Bangla Dance) কিংবা DBD টলিউড জগতের রিয়ালিটি শোয়ের মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য। বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে নাচের এই অনুষ্ঠান শুরু হলেও সবে কিছুদিন আগেই শুরু হয়েছে তার মূল পর্ব। এই বারের DBD-তে বিভিন্ন গ্রুপ থেকে শুরু করে একাকী নৃত্য পরিবেশন এর জন্য নাম দিয়েছে অনেক প্রতিযোগীরাই। আর তাঁর মধ্যেই অন্যতম DSR গ্রুপ।

তবে, এদিন DSR-এর পারফর্মেন্সের আগেই নিজেদের জীবনের সমস্যার কথা বিচারকদের সঙ্গে ভাগ করে নেন দলের সদস্যরা। তাঁরা জানায়, রোজকার জীবনে আয় হয় নামমাত্র। কিন্ত, প্রতিযোগিতায় আসায় আজ সেটাও বন্ধ। এই কথা শুনতেই বিচারকদের মধ্যে ঘটে তীব্র প্রতিক্রিয়া।

জি বাংলার তরফ থেকে সদ্য প্রকাশ পাওয়া ডান্স বাংলা ডান্স’-এর প্রমোতে দেখা যাচ্ছে ওই গ্রুপের একজন নৃত্য শিল্পী বলছেন, “যে জায়গায় থাকি সেখানে কাজ করেই পেট চালাতে হয়। সময় বের করে নাচ করি। নাচ করার সময় এত কিছু দেখি, অনুভব করি যে মনে হয় যেন এটা যদি সবসময় করতে পারতাম ভালো হতো। এখানে সময়ে খাবার পাই, নাচ করতে পারি। আমাদের কোরিওগ্রাফার স্যার খুব সাহায্য করেন”।

প্রতিযোগীদের কথা শুনে বিচারক যীশু তাঁদের বলেন, “তোমরা মন দিয়ে পারফর্ম করে যাও, ভগবান উপর দিয়ে দেখছে। আমি ভগবানে বিশ্বাস করি। তুমি যদি সৎ পথে চলো আজ না হোক, কাল বা পরশু তোমার আর তিন বেলা খাবারের কথা ভাবতে হবে না”। এরপরই শুভশ্রী তাদেরকে পরিবার খুশি হয়েছে কিনা? জিজ্ঞাসা করাতে ওই ব্যক্তি বলেন, “বাড়ির লোকজন জানত না যে আমি আসছি এখানে। মা জিজ্ঞেস করলে বলেছি কাজে এসেছি। কিন্তু গ্র্যান্ড অডিশনের পর ওরা জানতে পেরেছে যে আমি মিথ্যে বলে এসেছি। তো উনি খালি জিজ্ঞেস করছেন যে কবে ফিরবে? আমি ছাড়া বাড়িতে আর কেউ নেই উপার্জন করার মতো। আমি বলেছি কাজ শেষ করে জলদি ফিরে যাব। আমি চাই এখান থেকে কিছু একটা করে যেতে। মাকে খুশি করতে”।

এই ব্যক্তির কথা শুনে শুভশ্রী তাকে বলেন, “এই স্পিরিট বজায় রেখো। নাচের প্রতি তোমাদের এই ভালোবাসা তোমাদের অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর আমি সবার অনুমতি নিয়ে বলছি তোমাদের যদি কখনও কারও অর্থনৈতিক সমস্যা হয় আমাদের বলো, আমরা যতটা পারব তোমাদের সাহায্য করব”।

শুভশ্রীর সঙ্গে কথোপকথন শেষ হতেই যীশু তাকে জিজ্ঞাসা করে, তিনি কত আয় করেন? ঐ ব্যাক্তি জানান, রোজের ১৫০টাকা আয় করেন। কখনো আবার একটু বেশি রোজগারের জন্য অতিরিক্ত কাজও করেন। এরপর স্পষ্টভাবেই যীশু জানতে চান তিনি মাসিক ৫ হাজার টাকা রোজগার করেন কি? উত্তরে হ্যাঁ আসতেই যীশু তাকে আবারো জিজ্ঞাসা করে “GPay আছে?” নেই শুনতেই অভিনেতা বলেন, “মন দিয়ে পারফর্ম করো। পারফরমেন্স হলেই আমি তোমায় এই মাসের ৫০০০ টাকা দিয়ে দেব”।

কথায় আছে মানুষের মধ্যেই ঈশ্বর বাস করে। তবে, যীশুর DSR-এর প্রতিযোগিতার প্রতি এমন মানবিক ব্যবহার যেনো এক অন্যতম দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে সমাজের বুকে। বিচারক কথা অভিনেতার এই বিষয়কে কেন্দ্র করে অনেক নেটিজেনের মনে আলাদা করে জায়গা করে নিয়েছে। যীশুর কথা শুনে তাঁর তালে তাল মেলালেন শুভশ্রীও। তিনি বললেন, “আর আমরা সবাই মিলে বাকিদের দেব। এসব নিয়ে ভেবো না। মন খুলে পারফর্ম করো। দেখিয়ে দাও, ফাটিয়ে দাও”।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page