বাংলার অন্যতম প্রতিভাবান অভিনেত্রী হচ্ছেন বৈশাখী মার্জিত। আগে অনেক ধারাবাহিক ছায়াছবি, চলচ্চিত্রে তাঁকে দেখা গেলেও বর্তমানে আর সেই অর্থে কাজ করেন না বৈশাখী দেবী। তবে কিছুদিন আগে এক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে আবারও তাঁকে ছোটপর্দায় দেখা যায় এই সুঅভিনেত্রীকে। নাটকের মঞ্চ থেকে তাঁর অভিনয় যাত্রার শুরু। দারুণ গানও করেন এই অভিনেত্রী।
ছোটপর্দায় বৈশাখী মার্জিতের শেষ অভিনীত ধারাবাহিক ছিল ‘সাত পাকে বাঁধা’। তারপর আর তাকে কোনও ধারাবাহিকে সেই অর্থে দেখা যায়নি। কিন্তু এর মধ্যে বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু প্রায় ১২ বছর পর জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠাই’তে দাদু সিদ্ধেশ্বর মোদকের বান্ধবীর চরিত্রে ফেরেন এই অভিনেত্রী। তাঁকে অনেকদিন পর পর্দায় দেখে বেশ উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছিলেন দর্শকরা। যথারীতি জনপ্রিয় হয় এই চরিত্রটি।
আর এবার ফের একবার শিরোনামে অভিনেত্রী বৈশাখী মার্জিত। দীর্ঘ এতগুলো বছর বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাটানোর পর নিজের জীবনের এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ্যে আনলেন অভিনেত্রী। সে যেন এক দুর্বিষহ স্মৃতি। কাস্টিং কাউচ থেকে মিটু টলিউডের বিভিন্ন পরিচালক, প্রযোজকের দিকে বারবার আঙুল উঠেছে।
আর এবার সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিলে অভিনেত্রী। বৈশাখী দেবী জানিয়েছেন, এক সিনিয়র পরিচালক তাঁর সঙ্গে অসভ্য আচরণ করেছিলেন। সেই ঘটনায় ভীষণ রাগ হয়েছিল তাঁর। কিন্তু সেই সময় কাউকে কিছু বলতে পারেননি। আর আজ সেই তিক্ত স্মৃতি নিজের সঙ্গে বয়ে বেড়াতে চান না বলেই অভিনেত্রী জানিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন ওই পরিচালকের ব্যবহার সামনাসামনি ভীষণই ভালো ছিল। একবার গাড়িতে করে তাঁরা একসঙ্গে কোথাও যাচ্ছিলেন। আর সেই সুযোগটাই নিয়েছিলেন ওই পরিচালক। তিনি জানিয়েছেন, ‘সেই পরিচালক প্রথমে আমার পায়ে স্ক্র্যাচ করতে শুরু করে। তার পর সোজাসুজি ঘাড়ে হাত দেয়। তখন হয়তো আমি কিছু বলতে পারিনি। কিন্তু এখন এমন ঘটলে চড় মেরে দিতাম।’ উল্লেখ্য, বৈশাখী মার্জিত একা নন, টলিউড-বলিউড জুড়ে এই ধরনের ঘটনার শিকার অনেক অভিনেত্রীই।