আদৃত আসতেই খুশি হয়ে গেল শুভ লক্ষী। স্টার জলসার গৃহপ্রবেশ ধারাবাহিকে আজকের পর্বে দেখা যাবে, সবাই যখন রায় বাড়িতে একসঙ্গে কথা বলছে তখন সবার একটাই কথা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুভ যেন আকাশকে বিয়ে করে।
আর এই সময়তেই আকাশ বারে বারে শুভলক্ষ্মীর কথা ভাবার সময় মোহনা বলে, সে শুভ লক্ষ্মীর সঙ্গে যেমন ভাবে ব্যবহার করত আর এখনও যেনো তেমনি ব্যবহার করে। এই সময় আকাশ বলে শুভ সঙ্গে তার সম্পর্কের পরিস্থিতি এমন জটিল হয়ে উঠেছে অনুমতি আর স্বাভাবিক করা যাচ্ছে না।

এই শুনে আয়ান অর্থাৎ আদৃত আকাশকে বলে চিন্তা না করতে, শুভ লক্ষ্মী একদিন তাকে ঠিক বুঝবে। আসলে শুভ তার স্বামীকে খুবই ভালোবাসতো বলে সে এত কষ্ট পাচ্ছে। শুভ তার স্বামীর জায়গা কাউকে দিতে পারবে না, বলে আকাশ। এরপর আয়ান নিজের কথা বলতে থাকে তার কোনো আদৌ পরিবার আছে কিনা স্ত্রী আছে কিনা এইসব বিষয় নিয়ে ভাবতে থাকে।
আইনের কথা শুনে আকাশ বলল ‘আমি ভগবানের কাছে প্রার্থনা করব সে যেন খুব তাড়াতাড়ি তোমাকে তোমার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়’। এদিকে শুভকে সবাই মিলে আকাশের সঙ্গে বিয়ে করার জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করে। এমন সময়ে সেবন্তী বলে, শুভ কেন শুধু নিজের কথাই ভাবছে? ছোট্টো বাচ্চাটার কথাও তাঁকে ভাবতে হবে। বাচ্চাটাইবা কেন বাবার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত থাকবে? বলে সেবন্তী।
অনেক বোঝানোর পরে শুভ বাধ্য হয়ে হ্যাঁ বলে যে সে আকাশকে বিয়ে করতে রাজি। অন্যদিকে পুলক মনে মনে ভাবে, আকাশের সঙ্গে শুভর বিয়ে হলে সবটা ঠিক হয়ে যাবে। এরপর সুনন্দা মোহনাকে বলে শুভ রাজি হয়ে গেছে আকাশকে বিয়ে করার জন্য। তবে সুনন্দার কথা শুনে কিছুতেই বিশ্বাস করতে চায় না মোহনা এবং আকাশ।
আরও পড়ুনঃ বৈবাহিক সম্পর্কে ইতি অভিনেতা সুদীপের! কোন কারণে সম্পর্কে চির ধরল পৃথা-সুদীপের?
কিন্তু এই খুশির খবর শোনা মাত্রই আয়ানের হাত থেকে গ্লাস পড়ে যায় এবং হঠাৎ করে তার শরীর খারাপ লাগতে শুরু করে। এরপর সুনন্দা বলে, যত তাড়াতাড়ি হোক তাকে শুভর বাড়িতে যেতে হবে সে আর এই কাজ ফেলে রাখতে চায় না। এদিকে আবার আলমারি থেকে বিয়ের বেনারসি বার করে অঝরে কাঁদতে থাকে শুভ এবং মনে মনে ভাবে সে কখনোই চায়নি এমন দিনটা তার জীবনে আসুক। এরপর দেখা যায়, মোহনা আয়ানকে বলে একসঙ্গে একসঙ্গে শুভ লক্ষ্মীর বাড়ি যেতে। আর বাড়ি ঠিক সামনে ওপর থেকে আইয়ান কে দেখতে পায় শুভ এবং বেনারসি শাড়ি পরা অবস্থাতেই দৌড়ে দৌড়ে উপর থেকে নিচে নেমে আসে।