জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

দুর্গার সাজানো ছকেই চলছে খেলা! জালে ধরা পড়তে চলেছে উৎসব ও বৈদেহী মুখার্জী! ‘জগদ্ধাত্রী’তে আসছে বিরাট ধামাকা পর্ব

টলিউড জগতের বাংলা সিরিয়ালের মধ্যে ‘জগদ্ধাত্রী’ (Jagatdhatri) অন্যতম উল্লেখযোগ্য একটি। এই ধারাবাহিকের আজকের পর্বে দেখা যাচ্ছে, শুরুতেই দূর্গা একটা গাছের আড়ালে দাঁড়িয়ে কৌশিকীকে ফোন করছে এবং তাঁকে বলছে, ‘ কৌশিকী জালে পা দিয়ে ফেলেছে। দুর্গা কৌশিকীকে বলছে কংস মামার মত কাকা মঞ্জুকে দুর্গা ভেবে কথা বলছে। আর এই কথায় দুজনেই হাসাহাসি করছে। কিছুক্ষণ ধরে নানা কথা বলার পর কৌশিকী তাকে জিজ্ঞাসা করে, ‘ তুই কি চাইছিস বলতো?’ এই প্রশ্নের উত্তরে দুর্গা বলে, মঞ্জু যেনো দুর্গা সেজে ঐ বাড়িতে ঢুকে পড়ে যাতে বাড়ির প্রত্যেকটা খবর এবং ছবি পাবার জন্য।

অন্যদিকে আবার, মন যুগের দুর্গা ভেবে নানা ধরনের লোভনীয় অফার দিতে থাকে তাঁকে। তবে, উৎসব বলে তার কিছু প্রমাণ চাই। এই শুনে দূর্গা কৌশিকীকে বলে সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে। মিনা মুখার্জির ঘড়িটাই হবে দুর্গার প্রমাণ। এমনকি, সেই তোয়ালেটাও পেয়ে যাবে যেটাকে করে কালী বুড়ো তাঁকে অনাথ আশ্রমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই শুনে অবাক হয়ে কৌশিকি বলে, ‘মানে তোর ঐ ছোটবেলাকার জিনিসগুলো এখনও ওখানে আছে’। এই সময়ে মনের দুঃখে দূর্গা বলে, ‘কী স্বার্থপর বল তো, জানোয়ারেরাও হয়তো এভাবে সব ফেলে রেখে যায় না’।

Jagaddhatri today episode 10 March

কৌশিকী শুনে বলে ‘তুই তোর মাকে ভুল বুঝছিস কিন্তু দুর্গা’। এরপর দূর্গা বলে, ‘আমি আমার মায়ের কেসটা জানি’। ‘কৌশিকী এবার জানিস তো খেলাটা জমবে’ বলে দুর্গা। অন্যদিকে আবার বারে বারে উৎসবের মা মঞ্জুকে জিজ্ঞাসা করছে কোনো প্রমাণ আছে কিনা যে সেই আসল দূর্গা। এমন সময় বারংবার মঞ্জু দুর্গার ইশারায় সব উত্তর তাঁদের দিতে থাকে।

ঘড়ির কথা শুনে আরও উত্তেজিত হয়ে উৎসব মঞ্জুকে বলে, ‘আজ থেকে তুমিই দুর্গা’। আনন্দে উচ্চসিত হয়ে মন যুগের জড়িয়ে ধরে উৎসবের মা বলে ‘তোমাকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে যাবো’। আরও বলে, ‘আমি যা বলবো তাই শুনবে। যা চাইবে তাই দেবো। বাড়ি দেবো, গাড়ি দেবো। জীবনের সব সুখ ভোগ করবে’।

রীতিমতো মঞ্জুর সামনেই উৎসবের মা প্ল্যান করতে থাকে সাজানো দুর্গাকে দিয়ে সে কী কী করাবে? এরপরেই উৎসব ও তার মা বেরিয়ে যেতেই সামনে আসে দুর্গা এবং বলে ‘আমার ঠাম্মিটা বুড়ি হয়ে গেছে কিন্তু, টাকার লোভ এখনও যায়নি’। শেষে বলে, অনাথ আশ্রম মিলে শেষ করবে এই বৈদেহী মুখার্জীকে।

অন্য কিছু আবার দেখা যায় কাঁকন তাঁর হবু বরের সঙ্গে গেছিল দোলের কেনাকাটা করতে। বাড়ি ফিরে আসার পর কাঁকনের হবু বরকে তাঁর মা জানায় যদি সে এই বিয়েটা ভেঙে দিতে বলে তাহলে কী করবে? এই শুনে কাঁকনের হবু বর অনেক হয়ে যায় এবং বলে ‘মম তুমি এইরকম কেন বলছ?’ এই প্রশ্ন বারবার জিজ্ঞাসা করার সময়তেই কাঁকনের হবু শাশুড়ির একটি ফোন চলে আসে। এই সময় দূর্গা তাঁকে ফোন করে নানা ধরনের কথা বলে রীতিমতো মনে ভয় ধরিয়ে দেয়। দুর্গার কথায় মাসিমা শেষে ভয় পেয়ে কাঁকনের কাছে ক্ষমা চেয়ে চলে যায়।

Piya Chanda