বাস্তব জীবনে বিয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছে রুবেল ওরফে সৃজন। বর্তমানে মিম ফুলের মধু ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে পর্ণার ছেলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছে। অন্যদিকে, আবার সৃজন তাঁর সঙ্গে বিয়ের করার প্রস্তুতি শুরু করে।
বর্তমানে দত্ত বাড়ির পরিবেশ নানা চাপে বদলে গেছে অনেকটা। বহু বছর পর সৃজন ফিরেছে অন্যরূপে কিন্তু সে আবার ভালোবাসে মোহিনী নামের একটি মেয়েকে। এদিকে, ধ্যাস্টামো জেঠু মারা গেছে, বড়ো হয়েছে পর্ণার ছেলে-মেয়ে। অনেক কষ্টে সৃজনকে পর্ণা ফিরে পেলেও তাঁর আগের কথা কিছুই মনে নেই। তাই, পর্ণা ও দত্ত পরিবার অনেক চেষ্টা করছে সৃজনের স্মৃতি ফিরিয়ে আনার জন্য।
সৃজনের স্মৃতি ফিরে না এলেও সে তাঁর অজান্তেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বামী ও বাবার দায়িত্ব পালন করছে। এত সবকিছু ঘটনার মাঝে মোহিনী বলে ওঠে সে তাঁকে অর্থাৎ সৃজনকে বিয়ে করতে চায়। এই সময় ঘুরতে ঘুরতে পারেনা পর্ণা কী করবে, সেই সময় পুঁটি বলে “মা যা কিছু করার আমাদেরকেই করতে হবে”। এ সময় পর্ণা বলে ওঠে, “এই বিয়েই হবে আমাদের শেষ সুযোগ। এই বিয়েতে সৃজনের স্মৃতি ফিরিয়ে আনতেই হবে”। এরপর সৃজনের স্মৃতি ফিরিয়ে আনার জন্য পর্ণা ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে। ডাক্তার বলে সৃজনের স্মৃতি ফিরে আনতে গেলে পুরনো ঘটে যাওয়া ঘটনা তার সামনে পুনরায় ঘটাতে হবে। এই সময় পর্ণা ভাবতে থাকে এখন আমরা কি করব আমাদের হাতে সময় খুব কম।
আরও পড়ুনঃ ২৫০ টাকা সম্বল করে সুন্দরবন থেকে কলকাতায় টিকে থাকার লড়াই শুরু হয়েছিল! আজ এই শহরে তার বাড়ি, গাড়ি! তিনি সফল অভিনেত্রী সুস্মিতা
এরপর পর্ণা বাড়ি ফিরে গিয়ে দত্ত বাড়ির সবাইকে বলে, “আমাদের সৃজনকে ফিরে পেতে হলে দত্ত বাড়ির সবাইকে এক হতে হবে”। এই সময় কৃষ্ণ জিজ্ঞাসা করে ‘তাহলে এখন কী করা উচিত?’। পর্ণা তার সমস্ত প্ল্যানটা বলতে থাকে, “সৃজন মোহিনীকে বিয়ে করতে যাচ্ছে আর এই বিয়েটাই আমাদের শেষ সুযোগ নইলে আমরা সারা জীবনের মতো সৃজনকে হারিয়ে ফেলব”। এরপর, দত্ত বাড়িও বিয়ের তোড়জোড় করতে শুরু করে। বিয়ের মন্ডপে যখন সৃজন মোহিনী কে সিঁদুর পড়াতে যাবে তখনই তার সমস্ত পুরনো স্মৃতি ফিরে আসে এবং অবশেষে পর্ণাকে বিয়ে করে।