পর্দায় দেখা অভিনেত্রীদের ঝাঁ চকচকে জীবনও কি তাদের বাস্তব জীবনের সাথে মিল খায়? কিছু কিছু অভিনেত্রী তাঁদের জীবন সংগ্রামের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে ইচ্ছাশক্তি ও পরিশ্রমের জোরে যেকোনো বাধা পেরোনো সম্ভব। সেরকমই একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন সুস্মিতা রায় (Sushmita Roy)। আজ তিনি ইন্ডাস্ট্রির একজন গুরুত্বপূর্ণ মুখ। তাঁর সাফল্যের গল্প শুধুমাত্র অনুপ্রেরণা নয়, বরং হাজারো মানুষের স্বপ্ন পূরণের প্রতীক। তাঁর জীবন আমাদের শেখায়, কঠিন সময়ই সফলতার পথে প্রথম পদক্ষেপ।
অভিনেত্রী সুস্মিতা রায়, যিনি ছোটপর্দায় “কৃষ্ণকলি,” “অপরাজিতা অপু,” “বৌমা একঘর,” এবং “পঞ্চমী” সহ বহু ধারাবাহিকে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছেন। তবে বেশিরভাগ সময়েই তাঁকে নেগেটিভ চরিত্রে দেখা গেছে। বর্তমান সময়ে তিনি একজন সফল অভিনেত্রী, তবে এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে সংগ্রামের এক অনুপ্রেরণাদায়ক গল্প।
শিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার পথে সুস্মিতার লড়াই ছিল সহজ নয়। ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকেই রয়েছেন, যারা চরম প্রতিকূল পরিস্থিতি পেরিয়ে পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন। সেই তালিকায় সুস্মিতা রায়ের নামও উল্লেখযোগ্য।
সুন্দরবনে জন্ম নেওয়া সুস্মিতা ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। তবে তাঁর স্বপ্ন পূরণ করার পথে বহু বাধা ছিল। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, একসময় মাত্র ২৫০ টাকা নিয়ে সুন্দরবন থেকে কলকাতায় আসেন তিনি। কলকাতায় এসে শিয়ালদা স্টেশনের আশেপাশে তাবু খাটিয়ে কাটাতে হয়েছে দিন। পরে একটি মেসবাড়িতে জায়গা নিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ বিয়ে সারলেন ‘চোখের তারা তুই’ খ্যাত নায়ক জয় মুখার্জি! পাত্রীর পেশা জানলে চমকাবেন
এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে ধীরে ধীরে নিজের প্রচেষ্টায় তিনি এগিয়ে যান। বর্তমানে সুস্মিতা শুধু সফল অভিনেত্রী নন, তিনি জনপ্রিয় ইউটিউবার ও অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তীর বৌদির পরিচয়েও পরিচিত। আজ তাঁর জীবন কেবল একজন শিল্পীর সাফল্যের গল্প নয়, বরং এটি প্রমাণ করে যে কঠোর পরিশ্রম এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে যেকোনো স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত করা সম্ভব।