জি বাংলার (Zee Bangla) সবচেয়ে জনপ্রিয় ধারাবাহিক জগদ্ধাত্রীতে (Jagaddhatri) চলছে রুদ্ধশ্বাস পর্ব। তদন্ত করে জগদ্ধাত্রী পৌঁছচ্ছে আসল অপরাধীর কাছে। ওদিকে কৌশিকী মুখার্জীর সিংহাসনে বসার জন্য ষড়যন্ত্র করে চলেছে উৎসব, মেহেন্দি, দেবুদা আর বৈদেহী মুখার্জী। ইতিমধ্যেই সানভিও জানতে পেরেছে সেই বিষয়ে। বৈদেহী মুখার্জীকে প্রশ্নও করছে সে। রাজনাথ মুখার্জী তাকে অনেকবার চুপ করতে বলে কিন্তু সে থামেনি।
সানভি বৈদেহী মুখার্জীকে সাবধান করে বলে তিনি অনেক পাপ করেছেন একটা বাচ্চা মেয়েকেও তিনি ছাড়েনি তাকে তার পাপের শাস্তি পেতেই হবে। সানভির কথা শুনে বৈদেহী মুখার্জী তাকে চর পারে, প্রীতিও তাকে বোঝান চুপ করতে বলে কিছু সে থামেনি। সানভি বলে যেই সিংহাসনের জন্য তিনি এইসব করছেন সেটা তিনি পাবেন না, শেষে এমন কিছু হবে যে তিনি চমকে উঠবেন। এই বলে সানভি বেরিয়ে যায়। প্রীতি সন্দেহের অবকাশ করে বলে সানভি হয়তো কিছু জানে কিছু কেউ তার কথায় পাত্তা দেননা।
ওদিকে জগদ্ধাত্রীকে নিয়ে স্বয়ম্ভু এসেছে কলবোস মামার বাড়িতে। সেখানে কৌশিকী তাকে আরতি করে স্বাগত জানায়। সেখানে জগদ্ধাত্রী আর স্বয়ম্ভু একসঙ্গে একটি সুন্দর কেক কাটে। তারপর তারা একে অপরকে কেক খাওয়ায় এবং বিবাহ বার্ষিকীর উৎযাপন করে। জগদ্ধাত্রী আফসোস করে বলে সবাই যদি থাকতো আর বেশি ভালো লাগতো। তারপর জগদ্ধাত্রীকে নিয়ে স্বয়ম্ভু একটি ঘরে চলে যায় সেখানে খুব সুন্দর করে তাদের খাট সাজানো ছিল। সেখানে গিয়ে তারা একসঙ্গে সময় কাটায়।
সকালে উৎসবকে মেহেন্দি বলে সে ঠিক করে নিয়েছে কিভাবে সে সব সাজাবে। তারপর মেহেন্দি উৎসবকে কেকের অর্ডার দিতে বলে। কেকের দোকানে ফোন করতেই কেকের দোকানের মেয়েটি উৎসবকে বলে তাদের ফ্যামিলি থেকে কেউ বিবাহবার্ষকীর কেক অর্ডার দিয়েছিল। সেইকথা শুনে উৎসব দেবুদাকে নিয়ে কালবোস মামার বাড়ি যায়। সেখানে সে ফুলশয্যার খাট দেখে এবং কালবোস মামাকে হুমকি দিতে থাকে। তখন স্বয়ম্ভু এসে তাকে আটকায় এবং বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।
আরও পড়ুনঃ ফুলকির কামাল! শালিনীর পরিকল্পনায় জল ঢেলে বিজয়ী হয়ে রোহিতের মন জিতল ফুলকি!
জগদ্ধাত্রী বাথরুম থেকে এসে স্বয়ম্ভুর কাছে সব শুনে নেয়। ওদিকে উৎসব কেকের দোকানে মেয়েটিকে অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখায় এবং মেয়েটি যেই নম্বর থেকে ফোন এসেছিল নম্বরটি দিয়ে দেয়। তাহলে কি উৎসব জানতে পারবে কৌশিকী আর জগদ্ধাত্রীর রহস্য?