বাড়ি ফিরলেন বৈদেহি মুখার্জী! আসল অপরাধীর নাম শুনেই চমকে উঠল জ্যাস সান্যাল! জগদ্ধাত্রীতে আসছে বিরাট চমক

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক জগদ্ধাত্রী (Jagaddhatri)। ধারাবাহিকটি টিআরপি খানিকটা কমলেও এখনও টিআরপি তালিকায় বিদ্যমান ধারাবাহিকটি। সম্প্রতি ধারাবাহিককে এসেছে অন্যরকমের চমক। বেশ কিছুদিন ধরেই নিখোঁজ ছিলেন বৈদেহি মুখার্জী। তবে হটাৎই তিনি ফিরে আসেন মুখার্জী বাড়িতে। যেটা দেখে সকলেই খুশি হলে সম্পূর্ন বিষয়টাই বেশ রহস্যজনক বলে ঠাকে জগদ্ধাত্রীর। সে বুঝতে পারে কিছু একটা গন্ডগোল হয়েছে।

সে ভাবতে থাকে এতদিন ধরে খোঁজার পরও যেখানে বৈদেহি মুখার্জীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সেখানে হটাৎ তিনি স্বসম্মানে নিজেই পায়ে হেঁটে কিভাবে বাড়িতে চলে এলেন। তবে এই একই সন্দেহ হয় কৌশিকীরও। তাই বৈদেহি মুখার্জী বাড়িতে ঢোকা মাত্রই তার ওপর প্রশ্নের বৃষ্টি বর্ষণ করে জ্যাস সান্যাল ওরফে জগদ্ধাত্রী। সে জিজ্ঞাসা করেন তিনি কোথায় ছিলেন এতদিন? কি হয়েছিল আসলে তার? তবে কথাটা শুনেও ভালো লাগছে না বলে এড়িয়ে চলে যেতে চান বৈদেহি।

তখনই কৌশিকী আসে তাকে জিজ্ঞাসা করে সে কোথায় ছিল এতদিন, কি হয়েছে। তখন বৈদেহি বলেন তিনি কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননা। কিন্তু কৌশিকী বলে তাকে উত্তর দিতেই হবে। তার জন্য তাকে এবং জগদ্ধাত্রীকে অনেক কিছু শুনতে হয়েছে তাই তাকে উত্তর দিতেই হবে। তখনই সাধুদাকে ফোন করে বৈদেহির ফিরে আসার সংবাদটি জানায় জগদ্ধাত্রী। সংবাদটি শুনে খুব অবাক হন সাধুদা। তিনি জানান তিনি আসবেন।

কৌশিকী আবারও বৈদেহিকে জিজ্ঞাসা করে কিন্তু কোন উত্তর না দিয়েই চলে যায় বৈদেহি। জগদ্ধাত্রীও তার পিছু পিছু চলে যায় তে ঘরে। রাজনাথ মুখার্জীকে দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়ে বৈদেহি। তাকে শান্তি করিয়ে বসতে বলে রাজনাথ। তখন লিলিপুটকে দিয়ে বৈদেহিকে ফোন করায় তুষারতীর্থ। প্রথমে ফোনটা ধরেন রাজনাথ মুখার্জী কিন্তু লিলিপুট তাকে বলে বৈদেহিকে ফোন দিতে। বৈদেহি মুখার্জী ফোন নেওয়ার পর তুষারতীর্থ তাকে বলে কিছু বলতে না নাহলেই বিপদ।

আরো পড়ুন: নিম ফুলে কানায় কানায় উত্তেজনা! বর্ষা আর পিকলু ভালোবাসা কি অবশেষে জিতবে? সবশেষে কার হাত থেকে সিঁদুর পরবে বর্ষা? আসছে চমকে দেওয়া পর্ব

সেটা শুনে ঘাবড়ে যান বৈদেহি। জগদ্ধাত্রী কে ফোন করেছি জিজ্ঞাসা করলেও বৈদেহি তাকে উত্তর দেয়না। তখন রাজনাথ জগদ্ধাত্রীকে বলে এই রহস্যের উদঘাটন করতে। ওদিকে তুষারতীর্থ ভাবতে থাকেন তিনি জগদ্ধাত্রীর থেকে প্রতিশোধ নেবেন। তারপরই ছদ্মবেশে হাসপাতালে চলে যায় জগদ্ধাত্রী। সেখানেই গিয়ে আহত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করে। কিন্তু সাধুদা তাকে জানায় সে মুখ মুখছে না। তাই সপাটে একটা চড় মারে ছেলেটিকে এবং বলে সব সত্যি বলতে নাহলে সে তাকে গুলি করে দেবে সেটাই শুনেই ভয় পেয়ে যায় ছেলেটি। তাহলে কি সত্যিটা আবার সামনে আসবে জগদ্ধাত্রীর?