জি বাংলার ‘জোয়ার ভাঁটা’ (Jowar Bhanta) ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো নিয়ে দর্শকদের মধ্যে এখন এক অদ্ভুত দোলাচলের সৃষ্টি হয়েছে! উজির সিদ্ধান্ত যে কী হবে আর পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা নিয়ে সমাজ মাধ্যমে আলোচনার শেষ নেই। অনেকেরই মতে, মেসোর কথাবার্তা আসলে বেশি আত্মবিশ্বাসী, কম সত্যি! সে সম্ভবত আন্দাজের ওপর ভর করে এমন দাবি করেছে যে নিশা আর উজির সম্পর্কে সব জানে। ফলে উজির মুখে যে মুহূর্তের ভয় প্রকাশ পেয়েছিল, সেটাকে দর্শকরা এখন দুর্বলতা হিসেবেই দেখছেন। কারণ, ভয় দেখানোর এটাই তো সুযোগ!
যদি উজি চুপ করে যায়, মেসো আরও নিশ্চিত হবে যে তার সন্দেহ সত্যি। তবে, অন্যদিকে উজির অবস্থাটা যে সহজ নয়, সেটাও দর্শকরা অস্বীকার করছেন না। সে নিজের চোখেই দেখছে, খেয়াকে যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে দেখেছে, তা এড়িয়ে যাওয়া মানুষের পক্ষে অসম্ভব। উজির মনে এখন তাই দ্বন্দ্ব, নিজের সত্যিটা লুকিয়ে রাখবে, নাকি খেয়ারের প্রতি হওয়া অন্যায়ের বিচার করবে? খেয়ার ছদ্মবেশে গিয়ে নিজের চোখে দেখার সিদ্ধান্তটা যেমন সাহসিকতার, তেমনই সেটাকে উপেক্ষা করেও তার ভেতরের অপরাধবোধেরও ইঙ্গিত।
সে জানে যে আর একবার চুপ থাকলে শুধু খেয়া নয়, নিজেরও কাছে হার মানতে হবে। এই নিয়ে দর্শকদের কাছে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, সত্যিই কি মেসো কিছু জানে? নাকি পুরোটা খালি ভয় দেখানোর জন্য বলা কথাবার্তা? অনেকেই বলছেন, মেসো একধরনের মনস্তাত্ত্বিক খেলা খেলেছে। উজি যদি নিজেকে গুটিয়ে নেয়, তাহলেই সে বুঝে যাবে কোথায় চাপ দিতে হবে! আর উজি যদি মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়, তবে মেসোর এই ভয় দেখানো অর্থহীন হয়ে যাবে।
এই দোটানার জায়গাটাই গল্পের মোড়টাকে আরও বাস্তব করে তুলেছে। উজির সামনে এখন যে দায়িত্বটা এসেছে, তা শুধু খেয়ার সুবিচারের নয়, নিজের চরিত্রের পরীক্ষাও! সে যদি নিজের স্বার্থ বাঁচাতে গিয়ে অন্যের কষ্টকে অগ্রাহ্য করে দেয়, ভুলকে ভুল বলে না ওঠে তো তাঁর চরিত্রের প্রতি শ্রদ্ধা হারাবেন দর্শকরা। সমাজ মাধ্যমে এই নিয়েই একজন বলেছেন, “উজির একদম ঠিক হবে না, যদি খেয়ার এত খারাপ পরিস্থিতি দেখেও চুপ থাকে। অন্তত সত্যিটা ঋষিকে বলাই দরকার! নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে উজি যদি অন্যায় মেনে নেয়, তাহলে সে-ও নিজের দিদির মতোই অমানবিক!”
আরও পড়ুনঃ অভিনয়ের আগে জীবনে গুরুত্ব পেয়েছে সন্তান এবং সংসার! কেন নিজের সফল অভিনয় জীবনকে বিদায় জানাতে অভিনেত্রী তিতাস ভৌমিক?
আর তবেই হয়তো পুরো পরিবারে যে অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছে, তার একটা সৎ সমাধান পাওয়া যাবে। সব মিলিয়ে উজির সামনে এখন একাধিক পথ, ভয় সামলিয়ে সামনে এগোনো, কিংবা পিছিয়ে গিয়ে অন্যায়কে আরও শক্তিশালী করে তোলা! এখন সে কোন পথ বেছে নেয়, সেটাই দেখার অপেক্ষায় সবাই। খেয়ার জন্য ন্যায় খোঁজার লড়াইটা যে খুব সহজ হবে না, তা কিন্তু স্পষ্ট। কিন্তু উজির চরিত্র কি ভেঙে পড়বে, না আরও দৃঢ় হবে এই দোটানা থেকেই ধারাবাহিকের প্রতি দর্শকদের নতুন উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
