টিআরপি রেটিং (TRP) একটু কম হলেই ভ্রূকুটি দিচ্ছে চ্যানেল। এই মুহূর্তে, বাংলা টেলিভিশনের বিনোদন চ্যানেলগুলির একটাই লক্ষ্য। টিআরপি তালিকায় এক নম্বর স্থান। এই টিআরপির ভ্রূকুটিতেই কয়েকদিন আগে বন্ধ হয়েছে স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্ৰিয় ধারাবাহিক ‘পঞ্চমী’।
বাংলা বিনোদনের চ্যানেলগুলিতে টিআরপির লড়াই নতুন কিছু নয়। চ্যানেলগুলির মধ্যে অহরহ চলছে টিআরপি দখলের লড়াই। পরস্পরকে টেক্কা দিতে, চ্যানেলগুলোতে শুরু হয়েছে একাধিক নতুন ধারাবাহিক। গল্প একটু ঢিমেতালে এগোলেই বদলে যাচ্ছে স্লট। বন্ধ হচ্ছে সিরিয়াল।
সম্প্রতি অর্গানিক স্টুডিওর তরফ থেকে ‘মিঠিঝোরা’ ও আইডিয়াস ক্রিয়েশনের তরফ থেকে শুরু হয়েছে স্টার জলসার নতুন সিরিয়াল ‘আলোর কোলে’। আর শুরু হতেই নেটপাড়ায় চর্চার কেন্দ্র দুই ধারাবাহিক। স্টার জলসা আর জি বাংলার নতুন দুই ধারাবাহিক কেমন লাগছে দর্শকদের? সামাজিক মাধ্যমের পাতায় চোখ বোলালেই মিলছে প্রমাণ।
এ প্রসঙ্গে এক নেটিজেনে বক্তব্য,”আলোর কোলে নিয়ে প্রত্যাশা অনেকটাই বেশি ছিল। তবে প্রথম পর্ব ওতটাও মন মতো হল না। তবে এই আশঙ্কা একেবারেই যে ছিলনা তা নয়, গত বছর ‘সোহাগ জল’ অসম্ভব সুন্দর প্রোমোর পর প্রথম পর্ব ভীষণই হতাশ করেছিল। তবে ‘আলোর কোলে’ কে একেবারে সেই গোত্রে ফেলে দেবনা। গল্পটি গোছানো, উপস্থাপনা সুন্দর, সকলে নিজ নিজ জায়গায় ভালো অভিনয় করছেন, কিন্তু ক্লাসি ধারাবাহিক নয়। ‘কড়িখেলা’র মতন মনে দাগ কাটতে পারবেনা। ভালো লেগেছে স্বীকৃতিকে, ঋষিতাকে। পর্বের শেষাংশ টুকুই একমাত্র মন ছুয়েছে।”
অন্য এক নেটিজেনের মতে, “মিঠিঝোরা নিয়ে বিন্দুমাত্র কোনো আগ্রহ ছিল না। প্রোমো দেখে ভীষণই একঘেয়ে গল্প মনে হয়েছিল। যদিও গল্পের মূল খোলস খুলতে এখনো অনেকটা সময় বাকি, তবে প্রথম পর্ব মন কাড়ল। কি অসম্ভব গভীরতা এক একটি চরিত্রে! কী শক্তভাবে বাঁধা চিত্রনাট্য! এটাই বোধহয় লীনা গাঙ্গুলির সবচেয়ে বড়ো বৈশিষ্ট্য। সর্বোপরি, সাদামাটা পরিবেশ এবং চরিত্রগুলো গল্পটিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছে। গল্পের গুণমান ভবিষ্যতে কী হবে জানিনা, তবে চিত্রনাট্য ও উপস্থাপনা এইরকমই মানসম্মত থাকুক এটাই কাম্য।”