জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো মিঠিঝোরা (mithijhora) । এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে , এতদিন নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করা দেবাদৃতা বসু (Debadrita Basu) এখানে খলনায়িকার (Villen) চরিত্রে অভিনয় করছেন আর ধারাবাহিকে শুরুর থেকেই রাই এবং নীলুর মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব প্রকাশ করা হয়েছে। এই দ্বন্দ্ব যে শুধুমাত্র দুটি চরিত্রের মধ্যে তা নয়, ধারাবাহিকের কাহিনি এমন দিকে ঘুরেছে যে, ভক্তরাও দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছেন।
এক দলের মানুষ রাইকে ভীষণ ভালোবাসেন তাদের মতে রাইয়ের মতো মহানুভব কেউ হয় না। অন্য দলের মানুষ মনে করেন যে, নীলু কিন্তু জন্ম থেকেই ভিলেন নয়, তাকে ভিলেন বানানো হয়েছে।
এক দলের মানুষ কথায় কথায় খালি নীলুর দোষ ধরে, কিন্তু অন্য দলের মানুষ মনে করেন যে নীলু কিন্তু প্রথম থেকে খারাপ ছিল না, সে যখন বিয়ে করেছিল তখন সে মন দিয়েই সংসারটা করতে চেয়েছিল।
ঘর ঝাঁট দিয়ে, শ্বশুরের সেবা করে, রান্না করে পরিবারের সকলের মন জয় করতে চেয়েছিল। কিন্তু এই সময় বাপের বাড়ির দৈন্যতা ঘোচাতে রাই কিনা এসে উঠলো নীলুরই শ্বশুরবাড়িতে।
নীলুকে মেনে নিতে না পারা পরিবার রাইয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠলো-এই সময় থেকে নীলু চরিত্রের বিবর্তন শুরু। এরপর নীলু যা যা করেছে এই ঘটনাটাকে সামনে রেখে ভাবলে তা জাস্টিফাই হয়ে যায় অনেকাংশে।
অনেকে মনে করেন যে, রাইয়ের সেই দিন নিজের জায়গায় নিজের বোনকে বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়ে দেওয়া তাও আবার নিজের প্রেমিককে অন্ধকারে রেখে, এই সিদ্ধান্তটা সবথেকে বড় ভুল ছিল! দর্শকরা কেউ কেউ মনে করেন নীলু ভিলেন, কেউ কেউ আবার মনে করেন নীলু পরিস্থিতির শিকার।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরতেই বিপদ দেবের পরিবারে! রুক্মিণীকে নিয়েই হাসপাতালে ছুটলেন অভিনেতা!
সে যদি ভিলেন হতো তাহলে দিদির মৃত্যুতে খুশি হত। তা কিন্তু হয় নি। নীলু চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী দেবাদৃতাও এমনটাই মনে করেন। একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেবাদৃতা জানান যে“এখন যেকোনও সিরিয়ালের চরিত্রই পুরো ভালো বা পুরো খারাপ হয়না, চরিত্রে ধূসর ভাব থাকেই। এখানে আমার চরিত্রতেও তাই দেখানো হয়েছে। সময় বদলে দিয়েছে নীলুকে”