Bangla Serial

Soumitrisha Kundoo: এবার মিঠাই ২! প্রস্তাব রিজেক্ট করল সৌমীতৃষা! তোলপাড় ভক্তমহল

এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় যতগুলি সদ্য শেষ হয়েছে তার মধ্যে একটি ধারাবাহিককে দর্শকরা ভীষণ রকম ভাবে মনে রেখেছেন। আর সেই ধারাবাহিকটি হলো জি বাংলার (Zee Bangla) ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে লেখা একটি ধারাবাহিক। মিঠাই (Mithai)। দর্শকদের কাছে ব্যাপক রকম জনপ্রিয়তা আদায় করে নিয়েছিল এই ধারাবাহিকটি।

ধারাবাহিকের গল্প যেমন জনপ্রিয়তা পেয়েছিল তেমন‌ই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এই ধারাবাহিকটির নায়ক-নায়িকা জুটি। এই ধারাবাহিকের নায়িকা সৌমীতৃষা কুণ্ডুর ভক্ত সংখ্যা চোখে পড়ার মতো। বিশাল-বিরাট ব্যাপক তার জনপ্রিয়তা। শুরুর দিকে অন্যান্য ধারাবাহিককে অভিনয় করলেও মিঠাই ধারাবাহিকে অভিনয়ের কারণেই তিনি সর্বাপেক্ষা খ্যাতি পান।

মিঠাই ধারাবাহিকে অভিনয়ের সূত্রে তিনি রাতারাতি তারকা বনে যান। তার মতো গগনচুম্বী সফলতা বোধহয় এতটা কম সময়ে অন্য কোনও অভিনেত্রীই পাননি। সৌমীতৃষা এক কথায় ভীষণ রকম ব্যতিক্রমী অভিনেত্রী। তার ভাগ্য তার প্রতি ভীষণ রকমের প্রসন্ন। আর সেই কারণেই একের পর এক অসাধারণ সব কাজ পাচ্ছেন তিনি।

ধারাবাহিকে কাজ করে জনপ্রিয়তা পেলেও এখন কিন্তু তিনি সিনেমার অভিনেত্রী। সিনেমার দুনিয়ায় পা রেখেছেন এই অভিনেত্রী। একেবারে সরাসরি বাংলার সুপারস্টার দেবের বিপরীতে ‘প্রধান’ ছবিতে তার স্ত্রীর চরিত্রে দেখা মিলবে এই অভিনেত্রীর এটাও সবারই জানা। বছর শেষের শীতে দেখা মিলবে এই অভিনেত্রীর। এখন এই সিনেমার শুটিং নিয়ে ভীষণ রকমের ব্যস্ত রয়েছেন অভিনেত্রী।

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করা হয় ধারাবাহিক থেকে খ্যাতি পাওয়া এই অভিনেত্রী কি ধারাবাহিকের দুনিয়ায় আর ফিরতে চান? জবাবে সৌমীতৃষা বলেন, ‘আপাতত তো ছোটপর্দায় কাজ করছি না, সেটাই ঠিক করেছি। নিজেকে ওই ‘মিঠাই’ ইমেজ থেকে বের করে এবার একটু দর্শককে নতুন ভাবে চেনাতে চাই।’

আরও পড়ুনঃ কিছুদিন আগেই স্বামীর জন্য প্রার্থনা করতে বলল আর এখন তাকেই ফেলে ইডেনে ছুটল সুদীপা! ‘ঢং দেখে বাঁচি না’, বলছে হেটার্স

আর যদি মিঠাই-২ এর প্রস্তাব আসেন রাজি হবেন সৌমীতৃষা? জবাবে অভিনেত্রী বলেন ‘এখন ধারাবাহিক করতে চাই না। তবে যদি মিঠাই-২ আসে তাহলে ভাবব কী করব! পরে হলে নিশ্চয় ভেবে দেখব। এক্ষুনি নয়।‌ কিন্তু ধারাবাহিকের ইতিহাসে কখনও সিক্যুয়েল এলে ‘কাস্ট রিপিট’ হয়েছে বলে, যেমন ‘এখানে আকাশ নীল’ বা অন্য কোনও ধারাবাহিক। আসলে কাউকে আড়াই বছর ধরে দেখে ফেলে, তাহলে ওই একই বিষয়ের ওপর একই অভিনেত্রীকে কেউ দেখতেও চাইবেন না।’

Titli Bhattacharya