অন্তিম দিন আসার অপেক্ষা মাত্র। শেষ হতে চলেছে জি বাংলার পর্দায় চলা অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধারাবাহিক মিঠাই। এই ধারাবাহিককে ঘিরে মানুষের মধ্যে আবেগের বিস্ফোরণ ঘটেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে হয়তো অন্য কোনও ধারাবাহিককে ঘিরে দর্শকদের মধ্যে এমন তীব্র আনন্দ, উত্তেজনা বহিঃপ্রকাশ ঘটতে দেখা যায়নি।এই ধারাবাহিক নিজ গুণে হয়ে উঠেছে সর্ব মধ্যে অনন্য। যদিও টেলিভিশন দুনিয়ায় ইতিহাস সৃষ্টি করে অবশেষে বন্ধের মুখে এই ধারাবাহিক। কিন্তু এই ধারাবাহিক তৈরি করে দিয়ে গেল বাংলা টেলিভিশনের দুইজন তারকাকে।
একটি ধারাবাহিক যে এমন ভাবে তারকা তৈরি করতে পারে তা হয়ত মিঠাই ধারাবাহিকের মূল অভিনেত্রী সৌমীতৃষা কুন্ডু ও অভিনেতা আদৃত রায়কে না দেখলে বোঝার উপায়ই থাকতো না। সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অভিনেত্রী সৌমীতৃষা কুন্ডু। বর্তমানে কোমরে আঘাত নিয়ে বাড়িতেই বিশ্রামে রয়েছেন অভিনেত্রী। আর তাই শেষের দিকের বেশ কিছুদিনের শুটিংয়ে তাঁকে পাচ্ছে না মিঠাই ইউনিট। যদিও সুস্থ হয়ে দ্রুতই তিনি কাজে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন।
আর উক্ত সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন,
গত বছরের নভেম্বর মাসেই মিঠাই ধারাবাহিকের শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারপরে দীর্ঘ ৬ মাস সফল ভাবে চলে এই ধারাবাহিক। কিন্তু এবার শেষ হয়ে যাবে। সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করা হয় মিঠাইয়ের অন্তিম দিনে কী চোখে জল আসবে তাঁর? নিজের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করে অভিনেত্রী কি জানিয়েছেন জানেন?
মিঠাই খ্যাত অভিনেত্রী সৌমীতৃষার কথায়, মিঠাই বন্ধের কথা দীর্ঘদিন ধরে চলার কারণে হঠাৎ আসা কোনও দুঃসংবাদের তুলনায় মিঠাই শেষ হওয়ার খবরটার জন্য তিনি মানসিকভাবে অনেকখানি প্রস্তুত বলেই জানিয়েছেন। উপমা টেনে তিনি বলেছেন, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের পরিবারকে কখনও দেখেছেন? প্রথম যখন আঁচ পাওয়া যায় মৃত্যু আসছে তখন সবাই ভেঙে পড়েন। তারপর থেকেই শুরু হয় সেই শোক সহ্য করার প্রস্তুতি। তারপর যখন মৃত্যু চলে আসে সামনে তখন কষ্টটা সেই আগের থেকে অনেকটা কমে যায়। আমার ক্ষেত্রেও বিষয়টা তেমনই। শোক সহ্য করার প্রস্তুতি অনেক আগেই শুরু হয়েছিল। তাই হয়তো কষ্টটা একটু কম হবে।