বাংলা টলি ইন্ডাস্ট্রিতে আমরা অনেক সম্পর্ক গড়তে রেখেছি আবার অনেক সম্পর্ক ভাঙতে দেখেছি। যেমন সাম্প্রতিক সময়ে অভিনেতা জিতু কমল এবং নবনীতা দাসের সম্পর্ক যেরকম ভেঙে যাওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেখানেই এক অনন্য প্রেমের শুভ সূচনাও হয়েছে। না তাদের প্রেমের পরিণতিতে এবার আর কটাক্ষ নয় বরং শুভেচ্ছার ঢল নেমেছে।
বুঝতেই পারছেন কাদের কথা বলছি অভিনেত্রী শ্রুতি দাস এবং পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। তাদের অসম বয়সে প্রেম বারবার কটাক্ষের সম্মুখীন হয়েছে। নোংরা মন্তব্যে ভরে গেছে সোশ্যাল মাধ্যম। কিন্তু এত ঝড়-ঝাপ্টা সামলেও একে অপরের হাত ছাড়েননি তারা। ছেড়ে যাওয়ার যুগে একে অপরকে আঁকড়ে ধরেছেন তারা। রূপ, সৌন্দর্য্য, অর্থ , বয়স যে কখনও সত্যিকারের প্রেমের পথে অন্তরায় হতে পারে না সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন এই দুইজন।
তারা বিয়ে করতে পারেন এই আভাস অনেকদিন আগেই পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই তাদের বিয়ের ছবি দেখার পর যেন চমকে ওঠে সবাই। না নিজেদের বিয়েটা একান্তই ব্যক্তিগত রাখতে চেয়েছিলেন তারা। আর তাই রেখেওছিলেন তারা।কাকপক্ষী যেমন টের পায়নি তেমনই পরিবার ব্যতীত এই বিয়েতে উপস্থিত ছিল না আর কেউই। যদিও এই বিয়ের পরিকল্পনা চলছিল এক মাস আগে থেকে। দুজনেই চাননি পরিবার ছাড়া আর কেউ তাদের এই বিয়েতে উপস্থিত থাকুক আর সেই জন্যই একান্ত ব্যক্তিগতভাবে এই বিয়ে সারেন দুজনে।
না এটা ছিল শুধুমাত্রই রেজিস্ট্রি বিয়ে। পরে অবশ্য ধুমধাম করে সামাজিকভাবে বিয়ে করবেন তারা বলে জানিয়েছেন তখন উপস্থিত থাকবেন ইন্ডাস্ট্রির সবাই। কিন্তু রেজিস্ট্রি বিয়েতেই স্বর্ণেন্দু চেয়েছিলেন নিজের প্রিয়তমার সিঁথি সিঁদুরে রাঙিয়ে দিতে। অবশ্যই প্রেমিকের এই আবদারের সায় দিয়েছিলেন শ্রুতি। লাল সিঁদুরে শ্রুতির সিঁথি রাঙিয়ে দেন স্বর্ণেন্দু। রেজিস্ট্রির মাধ্যমে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।
View this post on Instagram
তাদের মধ্যেকার সম্পর্ক জমাটি। কোনও ঘাত- প্রতিঘাতেও সেই সম্পর্ক ভাঙবে না এমনটাই দাবি করেন দুজনে। একজন বাবা যেরকম স্নেহ, মায়া-মমতায় আগলে রাখেন সন্তানকে তেমন ভাবেই স্বর্ণেন্দু আগলে রাখেন শ্রুতিকে। আবার শ্রুতির মতো মেয়েকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পাওয়া ভাগ্যের বিষয় বলে মনে করেন স্বর্ণেন্দু। আর তাই অকপটে বলেন এইরকম ভালোবাসা পাবার জন্য কপাল লাগে, সমস্ত ছেলের ভাগ্যেই যেন এই রকম ভালোবাসা জোটে।শ্রুতি-স্বর্ণেন্দুর ভালোবাসার এই যুদ্ধ জয়ে খুশি তাদের ভক্ত দর্শকরাও। ভালোবাসায় বেঁধে থাক দুজনে। এমনটাই চান তারা।