বাংলার ধারাবাহিকের জগতের একটি জনপ্রিয় মুখ অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তী। বউ কথা বউ, বয়েই গেল, আজ আরি কাল ভাব, করুণাময়ী রানী রাসমণি, অগ্নিশিখা, সাধক বামাক্ষ্যাপা, কনে বউ, গোয়েন্দা গিন্নি, মহাপীঠ তারাপীঠ, সাঁঝের বাতি, মন ফাগুন, মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য, কাদম্বিনী, আমি সিরাজের বেগম, কপালকুণ্ডলা প্রভৃতি ধারাবাহিকে অভিনয় করে তিনি জিতে নিয়েছেন দর্শকদের মন। এছাড়াও স্টার জলসার ধারাবাহিক রামপ্রসাদে, সান বাংলার মঙ্গলময়ী মা শীতলা সহ একাধিক ধারাবাহিকে বর্তমানে কাজ করছেন অভিনেতা।
এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় তার রীল ভিডিও এবং ইউটিউবেও তার ব্লগ ভিডিওর জন্যও অভিনেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন অনেক। তবে এবার ভয়ানক দুর্ঘটনার শিকার হলেন অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তী। পরিবার সহ বাড়ি কর ফেরার পথেই দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন অভিনেতা। গাড়ির চালকের আসনে ছিলেন অভিনেতা নিজেই। তবে এখন কেমন আছেন তারা? কি করে হল এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা নিজের মুখে জানিয়েছেন অভিনেতা নিজেই।
অভিনেতা গতকাল তার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন একটি ভিডিও যেখানে দেখা যায় তার গাড়ির বনেট সহ গাড়ির সামনের অংশের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাড়ির নম্বর প্লেটও ছিটকে গিয়ে পড়েছে অনত্র। দুর্ঘটনা দেখে শিহরিত অভিনেতার দাদা সহ পরিবারের বাকি সদস্যরা। তিনি জানিয়েছেন আরও অনেক বড় ক্ষতি হতে পারত সত্যি আজ তাদের ভাগ্য ভালো খালি গাড়ির ক্ষতি হয়েছে। তিনি এও জানিয়েছে কিছু মুহূর্তের মধ্যেই সব হয়ে গেল,”রোহিত শেঠির সিনেমার মতো তাদের সামনের গাড়িটা উল্টে গেছিল।” তিনি খুব ভয় পেয়ে গেছিলেন সেইসময় অনেক ভাগ্য সেই ব্যক্তির হালকা কেটে ছড়ে যাওয়া ছাড়া বিশেষ ক্ষতি হয়নি। নাহলে আরও সমস্যা হত।
কি করে হল এই দুর্ঘটনা? অভিনেতা সংবাদিকদের সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন “আমরা বারুইপুর রথতলা ক্রসিংয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। আমাদের তখন সিগন্যাল সবুজ ছিল কিন্তু হটাৎ দেখি উল্টোদিক থেকে একটি গাড়ি দ্রুত গতিতে ছুটে আসছে। আমি কোনও মতে ব্রেক কষেছি। নাহলে গাড়ির পেটে আসে মারত। ব্রেক কষেছিলাম বলে খালি গাড়ির সামনে লেগেছে। আমি নিজেই গাড়ির চালাচ্ছিলাম। পাশে বৌদি বসেছিল, পিছনে মা আর দাদা। যদি গাড়িটা আমাদের গাড়ির পেটে মারত তাহলে বৌদি আর মায়ের অনেক ক্ষতি হতে পারত। শিবরাত্রির দিনে মহাদেব বাঁচিয়েছেন।”
আরো পড়ুন: জগদ্ধাত্রীতে বিরাট চমক! অপরাধীর সব খেলা শেষ করল জ্যাস সান্যাল! কোথায় পালালো বৈদেহি মুখার্জী?
এখন কেমন আছেন তারা? তিনি জানিয়েছেন এখন তার পরিবারের সকলেই সুস্থ আছেন। মনে হল যেন আমাদের গাড়িটা কেউ পিছন দিক থেকে ধরে রেখেছে নাহলে এইভাবে দিক দিয়ে ধাক্কা মারলে গাড়ি ঘুরে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কিছু হয়নি। আমাদের কারুর কিছু হয়নি। আমরা ভেবেছিলাম উল্টো দিকের গাড়িতে যারা আছেন তারা কেউ বেঁচে নেই কারণ গাড়িটা চারটে ভোল্ট খেয়ে উল্টে গেছিল। তবে গাড়িতে শুধু চালক ছিলেন এবং তিনিও খুব আহত হয়নি, ভগবানের আশীর্বাদ ছাড়া এটা সম্ভব নয়।”