এই মুহূর্তে বাংলা সিরিয়ালে টিআরপি দখলের লড়াইয়ে প্রতিটি ধারাবাহিক নির্মাতা এতটাই মেতে উঠেছে যে কেউ কাউকে এক চুল ছেড়ে দিতে রাজি নয়। তারপরে গল্পের মূল বিষয়বস্তু অনেক জায়গায় মাঝখানে এসে সরে যাচ্ছে এবং সেখানে জায়গা নিচ্ছে বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয়গুলি যেগুলো আদতে সমাজের উপর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে।
বিগত বেশ কিছু সময় ধরে এমন অনেক সিরিয়াল দেখেছি আমরা যেখানে গল্পের শুরুটা দর্শকদের কাছে আকর্ষণীয় লাগলেও ধীরে ধীরে সেই গল্পে পরকীয়া একাধিক বিয়ে নায়কের একাধিক প্রেম ইত্যাদি নানা বিতর্কিত বিষয় স্থান পেয়েছে। কিন্তু তবুও সেই ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা কিংবা টিআরপি বিন্দুমাত্র কমেনি বরং হুহু করে বেড়ে গেছে।
এবার এই প্রসঙ্গ নিয়ে মুখ খুললেন একজন জনপ্রিয় বাঙালি ইউটিউবার। তিনি হলেন ঝিলাম গুপ্ত। নিম ফুলের মধু নামক জি বাংলায় সবে শুরু হওয়া একটি ধারাবাহিক দেখে তিনি এতটাই বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছেন যে বাধ্য হয়ে এই লিখলেন।
ঝিলামের বক্তব্য মা-কাকিমারা এই ধরনের সিরিয়াল দেখে এটা মেনে নেওয়া যায় কিন্তু আজকের প্রজন্ম তারা নিজেদের আধুনিক বলে এদিকে তাদের বয়সের মেয়েরা শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়ছে এগুলো দেখে তাদের মনোরঞ্জন হয় কিংবা তারা এতে মজা পায় কী করে? এ সমস্ত কারণেই তিনি বাধ্য হন ট্রোল ভিডিও করতে।
ঝিলাম লিখেছেন “নিম ফুলের মধু নামের একটা সিরিয়াল এসে গেছে। সেটা নিয়ে ভালো মন্দ কথা লেখাও হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আমি অবাক হচ্ছিনা। মা, কাকিমা, ঠাকুমারা এই সিরিয়াল দেখে খুশি হচ্ছেন, আমি তাতেও অবাক হচ্ছিনা। কিন্তু একেবারে যুবতী মেয়েরাও এই সিরিয়ালের ডায়ালগ মুখস্থ করে পোস্ট দিচ্ছে দেখে আমি অবাক। না তারা পোস্ট দিচ্ছে দেখে অবাক নই, তারা যে আধুনিক দুনিয়ার এত আকর্ষন থাকা সত্ত্বেও সিরিয়াল দেখছে, আমি তাতেই অবাক। নিজেদের বয়সী একটি মেয়ে বিয়ে করে অন্যের বাড়িতে হেনস্থা হচ্ছে। যে কোনও সিরিয়ালের এটাই উপজীব্য। তাই দেখে এত মজা আসে? মনোরঞ্জন হয়? আবার এরাই ওমেন্স ডে আর মাদার্স ডে তে মেয়েদের পক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় মহাকাব্য লিখে ফেলে। এসব দেখে আমি যখন যাচ্ছেতাই রকমের অবাক হই, তখন একটা ট্রোল ভিডিয়ো করে ফেলি।”