জি বাংলার ( ZeeBangla )জনপ্রিয় ধারাবাহিক আনন্দী ( Anondi ) এখন জমজমাট মোড়ে। প্রতিদিনের টিআরপি তালিকায় ভালো ফল করছে ধারাবাহিকটি, আর কাহিনীর প্রতিটি পর্বে নতুন নতুন চমক দর্শকদের মুগ্ধ করছে। গতকালের পর্বে আনন্দীর সাহসী উদ্যোগ এবং আজকের পর্বে তার জন্য তাকে দোষারোপের ঘটনাই গল্পের কেন্দ্রে।
গতকালের পর্বে দেখা যায়, হার্টের সমস্যায় ভুগতে থাকা ছোট্ট কিয়ানের চিকিৎসায় কোন অগ্রগতি হচ্ছিল না। বাচ্চাটি তার দাদু-ঠাকুমাকে খুব মিস করছিল। তখন আনন্দী জোকার সেজে তার মন ভালো করার চেষ্টা করে। কিন্তু কাজ না হওয়ায়, আনন্দী ছদ্মবেশে ঠাকুমা সেজে কিয়ানের সঙ্গে দেখা করে। কিয়ান প্রথমে আনন্দীকে জড়িয়ে ধরে কথা বলতে শুরু করে, কিন্তু পরে বুঝতে পারে যে আনন্দী তার ঠাকুমা নয়। তখন সে চিৎকার শুরু করে এবং পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়।
আনন্দী আজকের পর্ব ১১ ডিসেম্বর (Anondi Today Episode 11 December)
আজকের পর্বে দেখা যায়, কিয়ানের চিৎকারে ডাক্তার এবং নার্সরা ছুটে আসে। আদি কোনরকমে আনন্দীকে পরিস্থিতি থেকে বার করে নিয়ে আসে। পরের দিন সকালে দেখা যায়, কিয়ান বেডে নেই। হাসপাতাল থেকে তার নিখোঁজ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। কিয়ানের বাবা ডক্টর সেন এসে সরাসরি আনন্দীকে দায়ী করেন তার ছেলের হারিয়ে যাওয়ার জন্য। পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে যায় যখন ডক্টর সেন আনন্দীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কিয়ানকে খুঁজে আনার জন্য চাপ দেন।
অন্যদিকে, মেডিনেসে একটি বিশেষ মিটিং ডেকে নন্দিনী আনন্দীকে দোষারোপ করতে থাকে। সে বলে, আনন্দী জোকার সেজে বাচ্চাটির কাছে না গেলে এই বিপদ ঘটতো না। নন্দিনী আদিকে বলে, আনন্দী যেন পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। কিন্তু আদি এবং আনন্দী দুজনেই আসল সত্যিটা খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন: গয়নার বিজ্ঞাপনে মডেলদের দেখে অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন! কিভাবে নায়িকা হয়ে উঠলেন সুস্মিতা দে?
পর্বের শেষ অংশে, আনন্দী, তনুশ্রী এবং সুমনা সরকারি কর্মীর ছদ্মবেশে কিয়ানের বাড়িতে তদন্তে যায়। তারা জানতে চায় কিয়ান কেন এত বিচলিত ছিল এবং তার দাদু-ঠাকুমা তাকে কেন এতটা প্রভাবিত করছে। এখান থেকেই গল্পে নতুন মোড় আসবে। আগামী পর্বে দেখা যাবে, আনন্দী কীভাবে তার বিরুদ্ধে আনা দোষ প্রমাণ করতে পারে এবং কিয়ানকে ফিরিয়ে আনে।