জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় জুটি অন্বেষা-ঋত্বিক আবারও পর্দায় ফিরেছে। এই জুটিকে আমরা এর আগে ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ ধারাবাহিকে দেখেছি, আর সম্প্রতি শুরু হওয়া ‘আনন্দী’ (Anondi) ধারাবাহিকেও তারা একসঙ্গে অভিনয় করছে। কয়েক সপ্তাহ আগেই শুরু হওয়া এই ধারাবাহিকটি ইতিমধ্যে দর্শকদের মন জয় করেছে। টিআরপি (TRP) তালিকায় অন্যান্য ধারাবাহিককে হারিয়ে এগিয়ে চলেছে ‘আনন্দী’।
গতকালের পর্বে দেখানো হয়েছে, আনন্দী রাস্তা ধরে ‘বিজয়া ফ্রি স্কিমের’ প্রচার করছে এবং তার নার্সিং সেন্টারে বিমলাদির ছেলের অপারেশনের ব্যবস্থা করছে। আনন্দীর এই উদ্যোগে আদি (Adi) নতুন করে সাহস পায়, কিন্তু নন্দিনী (Nandini) কিছুতেই এটা মেনে নিতে পারছে না। সে আনন্দীর বাবার মতো বিমলার সন্তানকেও মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে। কিন্তু এবারে আদি নন্দিনীর পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেয়, এবং বিজয়ী হয়। একদিকে আদির সাফল্য, অন্যদিকে আনন্দীর উদ্যোগে ‘বিজয়া ফ্রি স্কিম’ আবার শুরু হয়েছে নার্সিংহোমে ।
আনন্দী আজকের পর্ব ১৭ অক্টোবর (Anondi Today Episode 17 October)
আজকের পর্বে দেখানো হবে, বিমলাদির ছেলে সুস্থ হয়ে উঠেছে এবং স্কিমের (Scheme) আওতায় আরও মানুষ অপারেশন করানোর জন্য নাম লিখিয়েছে। নার্সিংহোমের বাইরে লম্বা লাইন দেখে আদি খুশি হয়ে ওঠে, এবং আনন্দীও স্বস্তি পায়। এরপর আনন্দী নার্সিংহোম থেকে বেরোতেই আদির গাড়ি এসে তার সামনে দাঁড়ায়। আদি তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। প্রথমে আনন্দী রাজি না হলেও আদি তাকে রাজি করিয়ে নেয়। গাড়িতে বসে আদি আনন্দীকে তার সাহসিকতার জন্য ধন্যবাদ জানায়। তাদের এই দৃশ্য দেখে তিতির (Titir) ঈর্ষান্বিত হয়, কারণ প্রথম থেকেই সে আনন্দীকে পছন্দ করেনি।
এদিকে, আদি আনন্দীকে বাড়ি পৌঁছে দিলে রকেট (Rocket) সেই ঘটনা দেখে ফেলেছে, যা তাকে অসহ্য করে তোলে। রকেট এরপর আনন্দীর দাদাকে ফোন করে দেখা করতে বলে এবং জানায় যে সে যেকোনোভাবে আনন্দীকে বিয়ে করতে চায়। সে ঠিক করে, আনন্দীকে না জানিয়েই বিয়ে করবে। অন্যদিকে, আদি বাড়ি ফিরে তার মা ঠাম্মিকে সব ঘটনা বলে। ঠাম্মি এবং বিজয়া দুজনেই আনন্দীর প্রশংসা করতে থাকে। আদি নিজেও আনন্দীর ভূয়সী প্রশংসা করে, কারণ আনন্দী না থাকলে সে একা এই কাজ করতে পারতো না।
আরও পড়ুনঃ জি বাংলার পরিণীতার নবাগতা ‘পারুল’ আসলে কে? কী তাঁর পরিচয়? জানলে চমকাবেন
তবে অন্যদিকে, আনন্দী বাড়ি ফিরতেই তার বৌদির সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এরপর আনন্দীর দাদা ফোন করে বৌদিকে জানায় যে, পরের দিন সকালে রকেটের সঙ্গে আনন্দীর বিয়ে হবে। ঠিক সেই মতো পরদিন ভোরে সানাইয়ের আওয়াজে আনন্দী জেগে ওঠে। সে কিছুই বুঝতে পারে না, এবং তার বৌদিকে জিজ্ঞেস করে কি ঘটছে। তখন বৌদি জানায় যে আজ তার বিয়ে রকেটের সঙ্গে হবে, আর গোটা পাড়া নিমন্ত্রিত । এই কথা শুনে আনন্দী চমকে ওঠে এবং প্রতিবাদ করতে থাকে, কিন্তু তার দাদা ও বৌদি মিলে জোর করে সব আয়োজন করতে থাকে। আনন্দী নিজেকে এই বিপদ থেকে রক্ষা করার কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছে না। এখন দেখার অপেক্ষা, কিভাবে আনন্দী এই অপ্রত্যাশিত বিয়ে থেকে নিজেকে মুক্ত করবে।