জি-বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘জগদ্ধাত্রী’ (Jagaddhatri) এবার ইতিহাস গড়ার পথে। মিঠাইয়ের মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিক যেখানে এই কাজ করতে পারেনি, সেখানে জগদ্ধাত্রী খুব শীঘ্রই ১০০০ পর্ব পূর্ণ করতে চলেছে। এই সাফল্য বাংলা টেলিভিশনের জগতে এক বিশাল কৃতিত্ব বলে ধরা হয়। টিআরপি তালিকায় প্রথম থেকেই শীর্ষস্থান দখল করলেও একটা সময় ধারাবাহিকটি সেই জনপ্রিয়তা হারায়। তবে আবারও নিজের জায়গায় ফিরেছে জগদ্ধাত্রী।
জগদ্ধাত্রীর এই অর্জন নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য। ধারাবাহিকটির গল্পের নতুনত্বই এই সাফল্যের পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছে, বলে ধারণা অনেকেরই। মুখ্য অভিনেত্রী ‘অঙ্কিতা মল্লিক’ (Ankita Mallick) নিজেও এই সাফল্যে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন। তিনি এদিন জানালেন, এর আগে বহুবার অডিশন দিয়েছেন, কিন্তু কোনও সুযোগ পাননি। এই ধারাবাহিকের অডিশনের পরে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন, যে আর অডিশন দেবেন না।
অভিনয় করার স্বপ্ন ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন, কারণ একের পর এক ব্যর্থতা তাঁকে প্রবল ভাবে হতাশ করেছিল। আবার মডেলিংয়ে ফিরে গেছিলেন, কিন্তু জি বাংলার ‘জগদ্ধাত্রী’ তাঁকে সেই আশার আলো দেখায়। অঙ্কিতা বলেন, যদি তিনি অন্য কোনও ধারাবাহিক করতেন জগদ্ধাত্রীর বদলে, তাহলে হয়তো এতটা ভালোবাসা পেতেন না। এই চরিত্র তাঁকে নতুন জীবন দিয়েছে, গড়ে তুলেছে এক নতুন পরিচিতি। এদিন অঙ্কিতা পরিচালক স্নেহাশিস চক্রবর্তীর কেও কৃতজ্ঞতা জানান।
আরও পড়ুনঃ “আজকে যদি ‘অপারেশন সিঁদুর’ প্রত্যাঘাত না হত তা হলে বিশ্বের কাছে ভারত কাপুরুষ প্রমাণিত হত!” অপারেশন সিঁদুরে গর্বিত টোটা রায় চৌধুরী!
অভিনেত্রী বলেন, “স্নেহাশিস দার গাইডেন্স এবং পুরো টিমের ডেডিকেশন, এই ধারাবাহিককে আজ এই বিশেষ জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। শুরুতেই আমরা একটানা ৪২ সপ্তাহ টিআরপি টপার ছিলাম। ৫০০ পর্ব পার করার সময় যেমন দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছিল জগদ্ধাত্রী, তেমনই ১০০০ পর্বের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েও মিলছে সেই ভালোবাসা পাচ্ছি। শীর্ষে থাকা না থাকাটা বড় কথা নয়, দর্শকদের সমর্থনই আমাদের এগিয়ে চলার সবচেয়ে বড় শক্তি।”