জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠিঝোরা’ (Mithijhora)। বর্তমানে এই সিরিয়ালে চলছে তুলকালাম পর্ব। রাই-অনির বিয়ের দিন থেকে অদ্ভুত আচরণ শুরু করেছিল শৌর্য্য। নীলুর সঙ্গে সবার সামনে খারাপ ব্যবহার করে রাইয়ের পাশে এসে দাঁড়ায় সে। এমনকি, বিয়ের দিন নীলু ঘুমের ওষুধ খেলেও একবারের জন্যেও স্ত্রীর জন্য মন কাঁদেনি শৌর্য্যের।

‘মিঠিঝোরা’ আজকের পর্ব 12 জুলাই (Mithijhora Today Episode 12 July)
ধারাবাহিকের পর্বে প্রথমেই দেখা যায় বৌভাতের সন্ধ্যায় সেজেগুজে দাঁড়িয়েছে রাই ও অনির্বাণ। লোকজন এসে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে তাঁদের। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন শৌর্য্যের পরিবারের লোকজনও। অনেকেই বাঁকা কথা শোনাচ্ছেন তাঁদের। এসব দেখে অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে শৌর্য্যের বোন টিয়া। সে বলে, খুব ভুল করেছে সে এখানে এসে।
এরপর দেখা যায় রাই এর পরিবারের লোকজন চলে এসেছে। মায়ের কাছে রাই স্বীকার করে, তাঁর ও অনির্বাণের বিয়েটা বড্ড তাড়াতাড়ি হয়ে গেল! কেউ কিছু ভেবে, বুঝে ওঠার আগেই বিয়ে হলো তাঁদের। রাইয়ের কথায় অশনি সংকেত খুঁজে পান তাঁর মা। বৌভাতে নীলু না আসায় কষ্ট পায় রাই।
আরও পড়ুনঃ ঋকদেব ও মধুবনীর আংটি বদল! ঋক সেনগুপ্ত বাড়ির ছেলে শুনে চমকে উঠল মধুবনী! ঘনাচ্ছে কোন রহস্য? কি সম্পর্ক রয়েছে মধুবনীর ?
শৌর্য্যের মায়ের কাছে নীলুকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য হাতজোড় করেন রাই নীলুর মা। কিন্তু শৌর্য্যের মা তাঁকে ফিরিয়ে দেন। এরপর দেখা যায় বিয়ে বাড়িতে চলে এসেছে শৌর্য্য। রাইয়ের জন্য হাতে করে ফুলের তোড়া নিয়ে এসেছে সে। সে আসতেই একেবারে চলে যায়
রাই অনির পাশে।
আরও পড়ুনঃ জমজমাট ‘শুভ বিবাহ’! সুধার সমস্ত সত্যি জেনেও বিয়েতে রাজি হল তেজ! এক হল সুধা ও তেজ!
রাইয়ের পাশে দাঁড়িয়ে শৌর্য্য বলে, রাই এবং অনির্বাণের সম্পর্কের ইতিহাস সে বলতে চায়। কিভাবে তাঁদের পরিচয় ইত্যাদি। এসব কথা শুনে অপমানের ভয়ে গুটিয়ে যায় রাই। চিন্তিত হয়ে পড়ে অনির্বাণও। কিন্তু শেষ মুহূর্তে হাসির ছলে শৌর্য্য বলে, রাই এবং অনির্বাণ একে অপরের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল। দুজনেই খুব ভালো গান গায়। তাই বৌভাতের সন্ধ্যায় দুজনের কাছ থেকেই গান শুনতে চায় সে। শৌর্য্যের কাণ্ড দেখে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে সবাই।