অপর্ণার স্পর্শ যেন ছুঁয়ে যাচ্ছে আর্যর হৃদয়ের প্রতিটি কোণ! ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকে এবার আরও গভীর হচ্ছে আর্য-অপুর সম্পর্ক। এখন আর শুধু বন্ধুত্ব নয়, সেই বন্ধুত্বের ছায়াতেই জন্ম নিচ্ছে ভালোবাসা। অপুকে ছাড়া যেন ধীরে ধীরে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে আর্য। অপর্ণার দেওয়া ছোট্ট গণেশমূর্তি আজ আর্যর হাতছাড়া হতে চায় না, ঠিক যেন আর্য চাইছে না অপুকে হারাতে।
অন্যদিকে, অপুও আর্যর কথা ভেবে সারারাত ঘুমোতে পারছে না। মনটা বারবার ফিরে যাচ্ছে সেই সব মুহূর্তে, যেখানে আর্য পাশে থেকেছে, সাপোর্ট করেছে, কখনও রেগে গিয়েও আবার কাছে টেনে নিয়েছে। অপু বুঝতে পারছে আর্যর অস্তিত্ব যেন এখন তার প্রতিদিনের জীবনের অংশ। তবে অপু মুখ ফুটে কিছু বলবে না, যতক্ষণ না আর্য নিজে স্বীকার করে যে সে অপুকে ভালোবাসে।

তাঁদের ভেতরের দ্বিধা আর ভালোবাসার লুকোনো অনুভূতিই এখন দর্শকদের চোখে এখন এক অনবদ্য রসায়ন। এদিকে গল্পে যে শুধু প্রেম জমে উঠছে তা নয়, বরং দানা বাঁধছে ভুল বোঝাবুঝিও। অপু আর নীলের বন্ধুত্ব নিয়ে বারবার চেপে বসছে সন্দেহের ছায়া। নীলকে নিয়ে অপুকে উদ্দেশ্য করে কিঙ্করের কটাক্ষ, মীরার ঈর্ষা আর রাগ, সবই যেন সম্পর্কের অজানা পরীক্ষায় ফেলছে আর্য-অপুর বোঝাপড়া।
কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও, আর্যর মন পড়ে থাকে একটাই জায়গায়—অপর্ণার কাছেই। সম্প্রতি পর্বগুলোতে দেখা গেছে, অপু আর্যর ভবিষ্যৎ নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করে বসে। আর্য উত্তর না দিলেও, তার প্রতিক্রিয়া বুঝিয়ে দেয়, অপুকে সে নিজের জীবনে চায় চিরদিনের জন্য। কখনও অপুকে নিজের হাতে খাইয়ে দেওয়া, কখনও নির্দ্বিধায় পাশে দাঁড়ানো, সবই যেন এক নীরব প্রেমিকের উদাহরণ।
আরও পড়ুনঃ পর্দায় ফিরছেন শতাব্দী রায়! প্রথমবার টেলিভিশনের পর্দায় অভিনেত্রী! তবে, কি ছোটো পর্দায় নতুন রূপে আসছেন গুরুদক্ষিণা’খ্যাত নায়িকা?
তবে গল্প থেমে নেই। নতুন প্রোমোতে ইঙ্গিত মিলেছে অর্যের প্রাণ সং’শয়ের, তাতে বোঝা যাচ্ছে বড়সড় সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হতে চলেছে এই জুটি। আর্য কি সত্যিই বলতে পারবে, সে অপুকে ভালোবাসে? অপু কি এবার আর্যর অনুভব বুঝতে পেরে পিছু হটবে দ্বিধা থেকে? সব প্রশ্নের উত্তর পেতে চোখ রাখুন ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এ, প্রতিদিন সন্ধে ৬:৩০ টায়, শুধুমাত্র জি বাংলার পর্দায়।