জি বাংলার ‘ফুলকি’তে (Phulki) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় ফুলকি-রোহিত বড় রানীকে সঙ্গে করে নিজেদের বাড়ি নিয়ে আসে। রায়চৌধুরী বাড়ির সবাই রীতিমতো অবাক হয়ে যায় এত রাতে বড় রানীকে দেখে। ফুলকি জানায়, বড় রানীর ইচ্ছা করছে ফুলকির সঙ্গে রাতে থাকবেন, তাই তাঁরা নিয়ে এসেছে এখানে। যদিও সত্যিটা কাউকেই বলে না রোহিত-ফুলকি, যে বড় রানীর প্রাণ সংশয়ের ভয়ে এখানে এনেছে তাঁরা।
রোহিতের মা কিছুটা আন্দাজ করতে পারলেও, রোহিত কিছুই বলতে নারাজ। এরপর সবাই ঘুমোতে চলে গেলে রোহিতের মা ধানুর শ্বশুরবাড়িতে সমস্যা হতে পারে ভেবে, আদিত্যকে ফোন করে জানিয়ে দেন বড় রানীর কথা। আদিত্য রেগে গিয়ে ধানুকে অনেক কথা শোনায় তাঁর দাদা এবং বৌদির বাড়াবাড়ি নিয়ে। এবার আর চুপ করে না থেকে ধানুও প্রতিবাদ করে আদিত্যকে ভুলটা ধরিয়ে দেয়।

অন্যদিকে ফুলকি আর বড় রানী রাতে ঘুমনোর আগে বড় রাজার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলতে থাকে। ফুলকি বড় রানীকে জানিয়ে দেয়, সে কুড়িয়ে পাওয়া মেয়ে। তাঁর মা-বাবা আসলে নিজের নয়, যদিও এই কষ্ট কোনওদিনও বুঝতে পারেনি সে। রাজবাড়িতে ছোট রানী রুদ্রর সঙ্গে গোপনে সাক্ষাৎ করতে যান। তিনি রুদ্রকে আরও একটা সুযোগ দিয়ে ফুলকিকে শেষ করে দিতে বলেন।
আরও পড়ুনঃ ভালোবাসার নীরব স্বীকৃতি! অপুকে ছাড়া থাকতে পারছে না আর্য! অপুর দেওয়া গণেশমূর্তি আঁকড়ে ধরে ভালোবাসায় ভাসছে সে! ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’এ এবার আর্য-অপুর প্রেমের স্বীকারোক্তি!
এবার আর নিজের বুদ্ধিতে নয়, বরং ছোট রানী নিজেই মতলব এঁটে ফেলেছেন। শুধু রুদ্রকে সেই মতন কাজটা করে সব প্রমাণ লোপাট করতে নির্দেশ দেন তিনি। মতলব অনুযায়ী, ফুলকি আর বড় রানীকে অ’পহ’রণ করে মাঝ সমুদ্রে নিয়ে যাওয়া হবে, সেখানে ফুলকি ডুবে যাবে কিন্তু বড় রানীকে ফিরিয়ে আনা হবে। ছোট রানী বলেন, বড় রানীর নামে পাঁচশো একর জমি আছে, তাই তাঁকে মারা যাবে না।
পরিকল্পনা মতন কিছু লোক গিয়ে অজ্ঞান অবস্থায় ফুলকি আর বড় রানীকে রাতের অন্ধকারে তুলে নিয়ে আসে। এদিকে সকাল হতেই রোহিত ফুলকিকে অনেক ডাকাডাকি করেও সারা ন পেয়ে, ভেতরে ঢুকে কাউকে পায়না, এমনকি ফুলকির ফোনও সেখানে পড়ে। এদিকে আবার ছোট রানী এসে বড় রানীর খোঁজ করতেই খবর মেলে, ফুলকি তাঁকে নিয়ে ঘুরতে গেছে সকাল সকাল উঠে। পুলিশ ডেকে রোহিতকে বড় রানীর অপ’হর’ণের চেষ্টায় গ্রেপ্তার করিয়ে দেন ছোট রানী।