জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘নে’শা করে এসব বলছিস?’— রায়ানের প্রেমে বিশ্বাস রাখতে পারছেন না পারুল! শিরীনের সামনে পারুলকে নিজের বলে স্বীকার রায়ানের! রবীন্দ্রনাথের নন্দিনী’-র সঙ্গে তুলনা! পারুলের পাশে দাঁড়াল রায়ান, বিস্ফো’রণ বসু বাড়িতে!

জি বাংলার ‘পরিণীতা’তে (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় রায়ান পরুলকে অবশেষে নিজের মনে কথা জানিয়ে দেয়। রায়ান দৃঢ়-কন্ঠে পারুলকে ভালোবাসার প্রস্তাব দেয়। এক মুহূর্তের জন্য পারুল থমকে যায়। বিয়ের পর রায়ান তাঁর সঙ্গে যেসব দুর্ব্যবহার করছে, সেগুলো চোখের সামনে ভেসে ওঠে পারুলের। পারুলের বিশ্বাস হয় না, রায়ানকে পাল্টা প্রশ্ন করে— “নেশা করে এসব বলছিস না তো?!”

রায়ান বলে, সে নিজেকে বারবার প্রশ্ন করে এই উত্তর পেয়েছে। কেন সবসময় পারুলের মুখ তাঁর চোখের সামনে ভেসে ওঠে, কেন কাছে আসার মুহূর্তগুলো ভুলতে পারে না সে। আজকাল পারুলকে খোঁজে তাঁর চোখ সবসময়, রায়ান বলে এইসবের উত্তর সে মনে করে ভালোবাসা ছাড়া আর কিছু নয়। রায়ানের কথায় পারুলের ভরসা না হলেও, মনের মধ্যে আনন্দ বাঁধ ভাঙার চেষ্টায়।

Parineeta, Zee Bangla, Bangla Serial, Uday Pratap Singh, Ishani Chatterjee, Surabhi Mallick, Parul, Rayan, Shireen, New Episode, পরিণীতা, জি বাংলা, বাংলা সিরিয়াল, উদয় প্রতাপ সিংহ, ঈশানী চ্যাটার্জী, সুরভি মল্লিক, শিরীন, নতুন পর্ব

পারুল রায়ানকে জানিয়ে দেয়, যে তাঁর মতি-গতির উপর একটুও ভরসা নেই পারুলের। আজ একথা বলছে আবার শিরীন এসে ক্ষমা চাইলে দুদিন পরে সে অন্য কথা বলবে। রায়ান বলে, পারুলের জন্য তাঁর মনে যে অনুভূতি তৈরি হয়েছে, আগে কারোর জন্য হয়নি। পারুল রায়ানকে একদিন সময় নিতে বলে, উত্তেজনা কমিয়ে ভেবে তারপর বলতে। রায়ান-পারুলের এই কথোপকথন শুনে ফেলে শিরীন।

বাড়ি ফেরার পথে রায়ান ভাবতে থাকে, পারুল যদি একদিন পড়ে তাকে না বলে দেয়, অথবা পারুলের মনে যদি অন্য কেউ থেকে থাকে। রায়ান সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়, পারুল একবার তাঁর ভালোবাসা মেনে নিলে সে ইউনিভার্সিটিতে জানিয়ে দেবে সকলকে তাঁরা বিবাহিত। অন্যদিকে পারুলও মনে মনে ভগবানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলে এতদিন এই কথাটা শোনার অপেক্ষায় ছিল সে।

বিয়েটা যেভাবেই হোক, পারুল মন দিয়ে রায়ানকেই স্বামী মনে করেছে। এদিকে বাড়ি ফিরতেই দাদুর রোষের মুখে পড়ে দুজনেই। দাদু রেগে গিয়ে ভাঙচুর করতে থাকেন, মনোজিত আটকাতে ফেলে তাকে চড় মেরে দেন তিনি আর ছেলেদের উচিৎ শিক্ষা না দিতে পারায় রায়ানের বাবাকে বের করে দিতে যান বাড়ি থেকে। পারুল আর চুপ করে থাকতে পারে না। পারুল বলে, ন্যায় বিচারের জন্যই তাঁরা বাধ্য হয়েছে দাদুর কথার অবাধ্য হতে।

দাদু আরও রেগে গিয়ে পারুলকে এই সবকিছুর জন্য দোষী বলেন। রায়ান পারুলের পক্ষ নিয়ে বলে, পারুল আজ যা করেছে সেটা কোথাও গিয়ে রবীন্দ্রনাথের নন্দিনীর মতন। রায়ান বলে ভবিষ্যতে যে কোনও বিপদে তাঁরা এভাবেই একসঙ্গে লড়বে। দাদুও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, ভবিষ্যতে যদি কেউ তাঁর কথার অমান্য করার সাহস পায়, তাহলে যেন বাড়ি থেকে বাড়িয়ে যায়।

Piya Chanda