জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, তারা সুন্দরী মা অপর্নাদের সাবধান করে দিয়ে যান। তিনি বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপর্ণার যেন আর্যর কাছে চলে যায়, নাহলে অনেক বড় বিপদ। এমন ভবিষ্যৎবানী শুনে অপু উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। হঠাৎই একটা ছায়া লক্ষ করে সে, সেই ছায়া তাকে বলে আর্যর জীবন সংশয় হতে পারে।
সেই ব্যক্তি বারবার বলে, শঙ্করকে আর কেউ বাঁচাতে পারবে না। অপর্ণারও মনে পড়ে যায় যে, একবার আর্যকে একজন শঙ্কর নামেই ডেকেছিল। ছায়া মূর্তির পিছু নিয়ে সে দেখতে পায়, সেই পাগল লোকটা যে কিনা সব সময়ে তাকে কিছু বলতে চায়। দুয়ে দুয়ে চার করে সে আরও দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। রাতেই গ্রামে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সে। সতীনাথ আর সুমীও বলে অপুর সঙ্গেই যাবে।

ওইদিকে গ্রামের বাড়িতে আর্যরা পৌঁছাতেই গ্রামের সবাই ঘিরে ধরে তাঁদের। কিঙ্করও আর্যদের সঙ্গেই সেখানে উপস্থিত হয়। সবাই মানিয়ে নিলেও, মানসীর কখনও মশা তো কখনও ফোনের নেটওয়ার্ক নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। পরদিন ষষ্ঠী পুজোতে ঘট স্থাপন করার জন্য আর্যকে ডাকা হয়। পুরোহিত জানান, এই বছরে সিংহ রায় বাড়ির পুজো একশো বছরে পড়েছে।
প্রতিবছর পরিবারের সদস্যরাই এই ঘট স্থাপন করে আসছে, বিশেষ করে যাঁদের রক্তের সম্পর্ক আছে। আর্য সবটা বুঝে মুখে কিছু না বলে, অর্ককে এগিয়ে দেয় এবার ঘট স্থাপন করতে। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে। আর্য যদিও অপর্ণার জন্য মনমরা হয়ে গেছে, রাজলক্ষ্মী আর্যর ভবিষ্যতের জন্য প্রার্থনা করছেন। হঠাৎ, হাজির হয় অপর্ণারা। প্রথমেই কিঙ্কর তাদের ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয়।
আরও পড়ুনঃ অপর্ণার বিয়ের প্রমাণে কিঙ্করের ভিডিও, ধ্বসে পড়ল আর্যর ভরসা! শহর ছেড়ে পালাতে চাইছে আর্য, অপর্ণার চোখের জলে ফেটে পড়ল কিঙ্করের আসল চ’ক্রান্ত! ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ এ দুর্গাপুজোতেই হবে অপু-আর্যর জীবনে বড় ঝড়!
কিন্তু আর্য দেখে ফেলায়, সে মুখ লুকিয়ে চলে যায়। অপর্ণাকে এইভাবে সেখানে দেখে সবার অবাক। আর্য কিছু বলার আগেই সুমী বলে ওঠেন, অপর্ণার বিয়েটা হয়নি। সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয় এবার। মানসী রাজলক্ষ্মীকে প্রস্তাব দেয়, অপর্ণা যখন এবার সিংহ রায় বাড়ির হবু বউ, তাই সেও যেন পরিবারের পুজোতে থাকে। এত খুশি আর আনন্দের মাঝেও অপর্ণা ভাবে, কী এমন বিপদ হতে পারে এবার!