জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, সপ্তমী পুজোর শেষে হঠাৎ শিরীনের উপস্থিতিতে আবার উত্তেজনা সৃষ্টি হয় বসু বাড়িতে। পারুল শিরীনকে সাবধান করে দেয়, যদি কোনও রকমের চালাকি সে করার চেষ্টা করে, তাহলে এর ফল ভালো হবে না। এরপরেই খবরের চ্যানেল থেকে একজন সাংবাদিক এসে হাজির হন সেখানে।
তিনি জানান, একে তো বসু বাড়ির অনেক নাম আছে ব্যবসায়ী হিসেবে। আর এবার দুর্গাপুজো হচ্ছে বলে তারা চায় খবরের চ্যানেলে লাইভ সম্প্রচার করতে পুজোর বিশেষ কিছু অংশ। পারুল জানায়, সন্ধে বেলায় মহিষাসুরমর্দিনী পালা হবে। সেই মতো সন্ধ্যে সাতটার সময় ধার্য করে সাংবাদিক চলে যান। এদিকে পারুলের অপমানের প্রতিশোধ নিতে শিরীন এবার ঢাল বানায় পারুলের বোন টগরকে।

সন্ধেবেলা আরতি শেষ হতেই শিরীন এসে পড়ে, আর রায়ানের মা খুব খুশি হন তাকে দেখে। পারুল ওদিকে সবাইকে তৈরি হয়ে নিতে বলে পালার জন্য। দাদুকে প্রজাপতি ব্রহ্মা সাজাতে চাইলে, তিনি প্রথমে রাজি হন না। পরে সবাই জোর করেই তাকে রাজি করান। মৈনাক সাজছে বিষ্ণু। কিন্তু মহিষাসুর কে হবে, এই নিয়ে চলছে আলোচনা। হঠাৎ পারুল লক্ষ করে, এক কোনায় দাঁড়িয়ে শিরীন আর টগর কিছু কথাবার্তা বলছে।
না শুনেই পারুল তাদের আবারও সন্ধান করে দেয়। শিরীন টগরকে বলে, কাজটা এমন সময় করতে হবে যেন পারুল ঠিকই না করতে পারে এই খবরের চ্যানেলে একদম নাক কাটা যায় তার। মল্লার টগরকে বলে পালাতে অপ্সরা সাজতে, ওটাই বেশি মানবে তাকে। টগর বলে দেয়, মা দুর্গা না হতে পারলে কিছুই হবে না সে। সময় মতো সবাই তৈরি হয়ে এসেছে। আর মাত্র কিছু মিনিট পরেই শুরু হবে পালা।
আরও পড়ুনঃ জীবন সংশয়ের ভবিষ্যৎবানী, আর্যর অতীতের রহস্যে ভয় বাড়ছে অপর্ণার! আনন্দের মাঝেই অশনি সংকেত, গ্রামে নতুন সংকটে অপর্ণা-আর্য! অজানা বিপদের ছায়া নামল সিংহ রায় বাড়ির শতবর্ষের পুজোয়!
কিন্তু হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পারুল, রায়ান আর মল্লার মিটার ঘরে ঢুকতে গিয়েই দেখে একটা বড় তালা ঝুলিয়ে রাখা। পারুল সবাইকে এসে জিজ্ঞেস করে, কারোর কাছে চাবি আছে কি না। সবাই খুবই উদ্ভিগ্ন হয়ে পড়ে, সাংবাদিকও দুশ্চিন্তা শুরু করেন। পারুল দেখে দূরে দাঁড়িয়ে শিরীন আর টগর হাসছে। পারুল বুঝে যায়, এই চক্রান্ত কার। রায়ানের হাত থেকে ত্রিশূল নিয়ে ছবির খোঁজে টগরের দিকে তেড়ে যায় পারুল!