জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

অফিসে জুতোর অজুহাতে অপর্ণাকে হেয়, প্রেমের ছবিকে হাতিয়ার করে মীরার অপমান! মেয়ের সঙ্গে আর্যর সম্পর্কের কথা শুনেই জ্ঞান হারালেন অপর্ণার বাবা, চিকিৎসার জন্য লাগবে অনেক টাকা! এবার কী করবে অপু?

জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, অপর্ণাকে রুম্পা বলে যে বাড়িতে আর্যর সঙ্গে সম্পর্কের কথাটা জানিয়ে দিতে। রুম্পার কথায়, এর থেকে বেশি দেরি করা ঠিক হবে না। একবার যখন ভালোবাসার প্রস্তাব দিয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি বিয়ের প্রস্তাব দেবে আর্য। কিন্তু অপর্ণা এই মুহূর্তে রাজি নয়, বাড়িতে এইসব কথা জানাতে। সে চায় সঠিক সময় আসলে সবটা জানিয়ে দেবে।

অন্যদিকে মানসী অর্ককে জিজ্ঞেস করে, আর্য এত ভালো গান গায়, তবুও আজ পর্যন্ত কোনদিনও কেন শোনায়নি! মানসী জানায় যে আর্য গভীর প্রেমে পড়েছে, খুব তাড়াতাড়ি বাড়িতে বিয়ের সানাই বাজবে। কথা শোনা মাত্রই অর্ক আবার অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। একটা বিয়ের দৃশ্যের আবছা ঝলক দেখতে পায় সে। এদিকে রাতে মা-বাবা ঘুমিয়ে পড়লেও অপর্ণার চোখে ঘুম নেই, আর্যর সঙ্গে কথা বলতে চায় সে। তার কিছুক্ষণ পরই আর্য নিজের থেকে মেসেজ পাঠায় অপর্ণাকে।

Chirodini Tumi Je Amar, Ditipriya Roy, Jeetu Kamal, Tonni Laha Roy, Avrajit Chakraborty, Arka Jyoti Paul Chaudhury, Zee Bangla, Arya-Aparna, Bengali Serial, Chirodini Tumi Je Amar Today Episode, New Episode, চিরদিনই তুমি যে আমার, দিতিপ্রিয়া রায়, জীতু কামাল, তন্বী লাহা রায়, অভ্রজিৎ চক্রবর্তী, অর্কজ্যোতি পাল চৌধুরী, জি বাংলা, আর্য-অপু, বাংলা সিরিয়াল, চিরদিনই তুমি যে আমার আজকের পর্ব, নতুন পর্ব

দু’জনে কথা বলে নিজেদের মন হালকা করে। কিন্তু অপর্ণার মায়ের ঘুম ভেঙে যায়, তিনি মেয়েকে এত রাতে কারোর সঙ্গে কথা বলছে দেখে সন্দেহ করতে শুরু করেন। অপর্ণা ঘুমিয়ে পড়তেই, ফোনটা দেখে জানার চেষ্টা করেন তার মা কিন্তু সফল হন না। পরদিন সকালে আর্য যথারীতি রাজলক্ষ্মীর সঙ্গে বসে কথা বলতে থাকে রোজ দিনের মতো। রাজলক্ষ্মী আর্যকে বলেন, অপর্ণা খুব ভালো মেয়ে, সব সময় তার খেয়াল রাখতে। হঠাৎ মানসী এসে কার্যকে আগের দিনের গানের ব্যাপারে জেরা করতে শুরু করে।

অফিস যাওয়ার তারা দেখিয়ে আর্য সেই মুক্তি পায়। এদিকে অপর্ণার অফিস যাওয়ার তারা দেখে চিন্তায় তার বাবা-মা। অপর্ণার বাবা বলেন মেয়ের মধ্যে পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছেন, এবং মা বলেন যে মেয়ে প্রেমে পড়েছে। অপর্ণা কি সত্যিটা জানাতে বললে সে বলে, সঠিক সময় আসলে সবটা জানিয়ে দেবে। অফিসে পৌঁছাতেই অপর্ণার জুতো ছিঁড়ে যায়। সঠিক সময় আর্য এসে তার হাত ধরে হাঁটতে সাহায্য করে। অফিসের কর্মচারীরা এসব দেখে ফিসফাঁস শুরু করে।

সবটা লক্ষ করে মীরা, আর্য চলে যেতেই নতুন জুতা দেওয়ার নাম করে অপর্ণাকে নিজের কেবিনে ডাকে সে। সেখানে কিছু জুতো দেখিয়ে অপর্ণার অর্থনৈতিক অবস্থান নিয়ে কটাক্ষ করে সে। অপর্ণাকে মীরা বলে, সে সামান্য কর্মচারী হয়ে আর্যর সঙ্গে যেসব করছে তার প্রমাণ আছে। ছবি দেখে অপর্না বলে, এই ছবি তার কাছে খুব মূল্যবান আর খারাপ কিছুও নেই। উল্টে মীরার কাছে ছবিগুলো চায় অপর্ণা, যাতে স্মৃতি হিসেবে রাখতে পারে।

নিম্ন মধ্যবিত্ত বাড়ির মেয়ে যে কলোনিতে থাকে। এই ছাপ তার গায়ে জন্মগত, বলে অপর্ণা। সেই জন্য আরও খারাপ কিছু হওয়ার আশঙ্কা সে করে না, কাজেই মীরা কিছু প্রমাণ করতে পারবে বলে ভয় পায় না অপর্ণা। মীরা এবার মনে মনে শপথ নেয় যে অপমানের বদলা নিয়েই ছাড়বে। অপর্ণার বাবাকে গিয়ে ছবিটা দেখে অনেক অপমান করে মীরা। অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি, তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় অপর্ণার বাবা। ডাক্তাররা জানে টাকা জমা না করলে চিকিৎসা শুরু হবে না।

Piya Chanda