জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, অপর্ণা মীরার কেবিন থেকে বেরোতেই আর্য ম্যাসেজ করে। আর্যর কথা মনে পড়তেই অপর্ণার মন ভালো হয়ে যায়। ম্যাসেজে আর্য দুপুরে বাইরে খেতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় অপর্ণাকে, আর সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যায় সেও।
মীরার মধ্যে প্রতিশোধের আগুন আরও বাড়তে থাকে এসব দেখে। সময় নষ্ট না করে মীরা সোজা চলে যায় অপর্ণার বাবার শাড়ির দোকানে। সেখানে অপর্ণার বাবাকে দেখে মীরা কটাক্ষ করে বলে, মেয়ে এত বড় দান মেরেছে তাও সতীনাথ এরম ঘামতে ঘামতে কাজে আসছে! অপর্ণার যা দক্ষতা সেটা খুব কম মেয়েরই থাকে।
সতীনাথ এসব কথার মানে কিছুই বুঝতে পারে না, এবং মীরাকে বলেন যে অপর্ণা যা করেছে সেটা সম্পূর্ণ নিজের যোগ্যতায়, এর বাইরে কিছু নয়। মীরা এবার আর্য-অপর্ণার ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবিগুলি সব এক এক করে সতীনাথকে দেখাতে থাকেন। এরপর মীরা চলে যেতেই সতীনাথ জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। খবর দেওয়া হয় স্ত্রীকে।
এদিকে অপর্ণার প্রিয় জায়গায় খেতে নিয়ে গেছে আর্য। লঙ্কার পরোটা দিয়ে লঙ্কার আচার খাচ্ছে দু’জনে। এতবার আর্যর ফোন আসে যে বিরক্ত হয়ে অপর্ণা বলে, এবার থেকে দেখা করতে এলে দু’জনেরই ফোন বন্ধ রাখবে তারা। সেই মতো ফোন বন্ধ করে দেয় তারা। সতিনাথকে তাড়াতাড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
রুম্পা হাজার চেষ্টা করেও অপর্ণার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে না। হাসপাতালে জানানো হয় আগে টাকা দিতে হবে, নাহলে চিকিৎসা শুরু হবে না। অপর্ণার মা খুব ভেঙে পড়েন, সেই মুহূর্তে একজন ডাক্তার এসে নিজের দায়িত্বে সতীনাথকে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা শুরু করে। অপর্ণার মা কথা দেন, অপর্ণা একবার চলে এলেই সব টাকা মিটিয়ে দেবে।
আরও পড়ুনঃ “কোয়েলকে ব্ল্যাঙ্ক চেক সই করে দিয়েছিলাম, সেই চেক আজও ব্যাঙ্কে জমা পড়েনি!”— কোয়েলের এই মহত্ত্বে মুগ্ধ দেব! অভিনেত্রীর সততা আর সম্পর্কের মূল্যবোধই আজও আলোয় রাখে তাঁদের বন্ধুত্বকে! আপনার মতে সেরা জুটি, দেব–শুভশ্রী না দেব–কোয়েল?
ডাক্তার পরীক্ষা করে জানায়, সিটিনাথের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অনেক বড় হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তাঁর। অন্যদিকে আর্য অপর্ণাকে রাজি করায় বাড়িতে তাদের সম্পর্কের কথাটা জানিয়ে দিতে। অপর্ণাও রাজি হয়ে যায়, ঠিক করে আজকেই সবটা জানিয়ে দেবে। কিন্তু বাড়ি ফিরতেই প্রতিবেশীদের থেকে বাবার অবস্থা জানতে পারে সে।