জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

বাবার অস্ত্রোপচারের টাকার তাগিদে দ্বারে দ্বারে কাকুতি-মিনতি অপর্ণার! প্রতিশোধে অন্ধ মীরা, সাহায্যের হাত বাড়াল না! রুম্পার জন্য অবশেষে আর্য জানতে পারল সতীনাথের সংকট! ভালোবাসা আর দায়িত্বের টানাপোড়েনে আর্য-অপর্ণার সম্পর্কের সামনে নতুন পরীক্ষা!

জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, অপর্ণা বাড়ি ফিরতেই প্রতিবেশীর থেকে জানতে পারে যে বাবার হার্ট-অ্যাটাক হয়েছে। তাড়াতাড়ি করে হাসপাতালে পৌঁছে অপর্ণা দেখে, বাবার চিন্তায় কেঁদে কেঁদে মাও অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এমন সময় ডাক্তার সতীনাথের জ্ঞান ফিরে আসার খবর জানাতে আসেন।

অপর্ণা ডাক্তারকে জোরাজুরি করতে থাকে একবার বাবাকে দেখবে বলে। প্রথমে ডাক্তার রাজি না হলেও, অপর্ণার অবস্থা দেখে রাজি হয়ে যান। অপর্ণা বাবাকে অনেক কথা বলে, কিন্তু সতীনাথ পাল্টা কোনও উত্তর দেয় না। এমনকি তাকায়ও না মেয়ের দিকে। অপর্ণার একটা সন্দেহ হয় ঠিকই, কিন্তু কাউকে বলে না সে।

ডাক্তার জানায় কোনও বড় মানসিক ধাক্কা থেকেই ওনার রিভবস্থা হয়েছে। এদিকে আর্য বাড়ি পৌঁছাতেই অর্ক আর মানসী তাঁকে ঘিরে ধরে, মনের মানুষের নাম জানতে। রাজলক্ষ্মী এসে আর্যকে শেষমেষ উদ্ধার করেন ওদের হাত থেকে। অন্যদিকে ডাক্তার জানায় যে, সতীনাথের একটা অপরেশন করতে হবে আর তার জন্য তিন লাখ টাকা প্রয়োজন।

অপর্ণা অনেকবার মীরাকে ফোন করে ইন্সুরেন্সের জন্য, কিন্তু প্রতিশোধস্পৃহাতে সে কিছুতেই ফোন ধরে না। মীরা ভাবে যে এতক্ষণে হয়তো অপর্ণা বাড়ি পৌঁছে গেছে, আর মীরা যে সতীনাথকে আর্য অপর্ণার ছবি দেখিয়ে এসেছে তাই নিয়ে নিশ্চই ঝামেলা লেগেছে, সেই জন্যই অপর্ণা কথা শোনাতে ফোন করছে।

রুম্পা অনেকবার করে অপর্ণাকে বলে যে আর্যকে সবটা জানাতে, কিন্তু অপর্ণা রাজি হয় না সবসময় আর্যর সাহায্য নিতে। মীরার বাড়ি গিয়ে অপর্ণা কেঁদে কেঁদে দরজার ওপার থেকেই বাবার জন্য সাহায্য চায়। এদিকে আবার রাজলক্ষ্মী আর্যকে বলে, অপর্ণার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাওয়ার কথা। রুম্পা দেরি না করে, নিজেই আর্যকে সবটা জানিয়ে দেয়, সতীনাথের ব্যাপারে।

Piya Chanda