জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

অপর্ণার মায়ের বাঁকা কথায় অপমানিত, বাড়ির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েই ফিরে গেল আর্য! আর্যর উপস্থিতি মেনে নিল না সতীনাথ, সাহায্যের হাত ফিরিয়ে দিয়ে জানালেন অপর্ণা-হিন্দোলের বিয়ের নিমন্ত্রণ!

জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, রাজলক্ষ্মী আর্যদের বলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সতীনাথকে তার এবং অপর্ণার সম্পর্ক নিয়ে সবটা জানিয়ে দিতে। এমনিতেই ওনার শরীর খারাপ তার ওপর যদি বাইরের কারোর থেকে এই কথা জানতে পারেন, তাহলে সেটা সহ্য করতে পারবেন না। রাজলক্ষ্মী আর্যকে বলে, অপর্ণার মা-বাবা খুব ভরসা করে তাকে। সে নিজের মুখে বললে সবটা মেনে নেবেন তাঁরা। সবটা লুকিয়ে লুকিয়ে শুনে ফেলে মানসী। এরপর অর্কও সেখানে উপস্থিতি হয়।

আর্যর বিয়ে নিয়ে কথা তোলে মানসী, কিন্তু হঠাৎ অতীতের স্মৃতি মনে পড়তেই অর্ক অসুস্থ হয়ে পড়ে। অন্যদিকে অপর্ণার মা তাঁর বাবাকে আনতে যাবে বলে তৈরি হচ্ছে। অপর্ণাকে ডাক্তারের কাছ থেকে বাবার সমস্তকিছু ঠিক করে জেনে নিতে বলে তিনি। তারপর অপর্ণাকে খাওয়ার দিলে, সে খেতে চায় না আর বলে কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু তার মা স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, আর্যকে ছাড়া তাকে বাঁচতেই হবে! তাতে যতদিন না খেয়ে থাকতে পারে থাকুক।

হাসপাতালে পৌঁছাতেই ডাক্তার জানান, অপর্ণার বাবার বাড়ি পৌঁছানোর জন্য তিনি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে রেখেছেন। যদিও অপর্ণারা সেই সাহায্য নিতে চায় না, কিন্তু কৃতজ্ঞতার খাতিরে মেনে নেয় তারা। হাসপাতাল থেকে বেড়ানোর সময় আর্য উপস্থিত হয় একই কারণে। অপর্ণার বাবা বলে দেন যে এতদিন আর্য অনেক করেছে, এবার আর সাহায্য নিতে পারবে না তারা। আর্য বলে অন্তত তাদের সঙ্গে বাড়ি পর্যন্ত যেতে চায়। অপর্ণাও বাবা-মায়ের সুরে আর্যকে বলে, তাদের বাড়ি গিয়ে কষ্ট করতে হবে না আর।

আর্য বুঝতে পারে কিছু একটা সমস্যা হয়েছে। অপর্ণা বলে আর্য এখানে তার বাবার জন্য এসেছে, একা একা যেতে দেওয়াটা ঠিক হবে না। সে নিজে যেতে চায়, কিন্তু মা বাধা দিয়ে নিজে আর্যর সঙ্গে চলে যায়। গাড়িতে করে যাওয়ার পথে আর্যকে আকার-ইঙ্গিতে অনেক কথা শোনান অপুর মা। এদিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে অপু তার বাবা এবং ডাক্তার বাবু বাড়ির দিকে এগোতে থাকে। অপর্ণার চিন্তা হয় যে, তার মা আবার আর্যকে কিছু ভুলভাল না বলে বসেন।

আর্য বাড়িতে ঢুকতে যাবে এমন সময় অপুর বাবার বলেন, নিজের মূল্যবান সময় ব্যয় করে আর তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে না আর্যকে। তাঁর কাছে ঋণের বোঝা বেড়েই যাচ্ছে, তাই আর কোন সাহায্য চায় না সতীনাথ। বাড়িতে একটা পুজোর আয়োজন করছেন বলে আর্যকে নিমন্ত্রণ জানান তিনি। এই কথা শুনে অপর্না এবং মা দুজনের খুব অদ্ভুত লাগে। তারা কেউই জানতো না এই পুজোর ব্যাপারে। আর্য অপমানিত হয়ে চলে যায় সেখান থেকে।

আরও পড়ুনঃ গুঞ্জন সমালোচনা সব অতীত! দীর্ঘ বিরতির পর অবশেষে পর্দা কাঁপাতে ফিরছেন সবার প্রিয় সৌমিতৃষা কুণ্ড, আবার উঠবে টেলিভিশনে ঝড়!

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page