জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“আমি ঘেন্না করি সেই রসিকতা, যেখানে কারও মর্যাদা খাটো হয়!” “অপমান করে যদি কারর ভালো লাগে , তবে সে নিজেই অপমানের যোগ্য!” বর্তমান প্রজন্মের ‘কুল’ ট্রেন্ড নিয়ে অকপট কোয়েল মল্লিক!

বিয়ে করলেই নাকি জনপ্রিয়তা কমে যায় অভিনেত্রীদের! এই ধারণা বহুদিন ধরেই রয়ে গেছে বিনোদন জগতে। সংসারের দায়িত্ব নিতে গিয়ে অনেকে আবার নাকি পেশাগত জীবন থেকে সরেও আসেন স্বইচ্ছায়। কিন্তু সেইসব ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেছেন টলি কুইন অভিনেত্রী ‘কোয়েল মল্লিক’ (Koel Mallick)। আজ তিনি দুই সন্তানের মা হয়েও অভিনয়ের জগত থেকে দূরে সরে যাননি। ব্যক্তিগত জীবনের পাশাপাশি তিনি তাঁর ভালোবাসার জায়গায় আজও টিকে আছেন। সেই সঙ্গে টলিউডের সব থেকে রুচিশীল অভিনেত্রী খেতাবও রয়েছে তার কাছে।

বাবা বর্ষিয়ান অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক। বনেদি বাড়ির মেয়ে কোয়েল বরাবর নিজের মধ্যে সেই অভিজাত্য বজায় রেখেছেন। পর্দায় কোনদিনও অতি ঘনিষ্ঠ দৃশ্য বা খারাপ পোশাক করতে দেখা যায়নি তাকে। এমনকি ইন্ডাস্ট্রিতে যেখানে নায়িকাদের একাধিক সম্পর্কের গুঞ্জন ওঠে, টলি কুইন কোয়েল মল্লিকের আজ অব্দি কোনদিনও সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা যায়নি। সহ অভিনেতা জিতের সঙ্গে এক সময় সবাই ভাবতেন তিনি প্রেম করছেন, যদিও দু’জনেই আলাদা জীবন সঙ্গী পেয়েছে সেই ধারণা নস্যাৎ করে দেন।

কিছুদিন আগেই টেলিভিশনের এক রিয়েলিটি শোতে এসে এক দুঃস্থ শিশুর চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে নেন তিনি। অভিনেত্রীর এই মানবিক দিকের জন্যই তিনি আজও সবার প্রিয়। এদিন অভিনেত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, বর্তমান প্রজন্মের প্রবণতা নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আজকের দিনে দাঁড়িয়েই কোয়েল মল্লিককে তরুণ প্রজন্মের অনেকেই নিজের আইডল মনে করে। সেই দিক থেকে, আজকাল এই প্রজন্মের মধ্যে একটা প্রবণতা রয়েছে। যেখানে মানুষ মানুষকে ছোট করে, নিচু দেখিয়ে বলে যে “একটু চেটে দিলাম!”

কিন্তু কোনটা একজনকে আঘাত করা আর কোনটা মজা করা সেই ফারাকটাই কোথাও যেন হারিয়ে যাচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের কাছে একজন বড় দিদি হয়ে, এই বিষয়ে টলি কুইনের কি বক্তব্য? কোয়েল মল্লিক বলেন, “এটা ভীষণ দুঃখের বিষয়। আমার ভীষণ বিরক্তিকর লাগে, রুচিহীন লাগে। মজা করা এক রকম, কিন্তু কাউকে আঘাত দিয়ে মজা লাগে না আমার। সেটা যথেষ্ট দুঃখের রসিকতাবোধ এবং মর্যাদাহানিকর লাগে। যারা খারাপ ভাষায় কথা বলে, ভীষণই কাঁচা ভাষা যাকে বলে।

সেটাও আমার খুব একটা প্রশংসাযোগ্য বা ‘কুল’ লাগে না। তার সঙ্গে মহিলাদের সম্মান দেওয়াটাও যথেষ্ট জরুরী। পিছনে লাগাকে বিকৃত করে, অনেক লোকের মাঝখানে অপমানের জায়গায় নিয়ে যাওয়াকে আমি ঘেন্না করি। আমার মনে হয় এই ক্ষেত্রে যে অপমান করলো সেই বেশি ছোট হলো, যাকে করা হলো তার থেকে।” আর ঠিক সেই জন্যই দর্শকদের মতে, শিক্ষা এবং মর্যাদার ভারসাম্য রেখে এগিয়ে চলার এক মানবিক উদাহরণ হয়ে উঠেছেন কোয়েল। আপনিও কি অভিনেত্রীর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সহমত?

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

Piya Chanda