জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্যরা সপরিবারে অপর্ণাদের বাড়িতে উপস্থিত হয়েছে। মীরাও তাদের পেছন পেছন এসে হাজির। তবে, মীরার মনে সন্দেহ জাগে আর্যরা সবাই মিলে কেন এসেছে ভেবে। আর্যদের সযত্নে স্বাগত জানান সতীনাথ আর সুমি। রাজলক্ষ্মীও অনেক উপহার নিয়ে এসেছে তাদের জন্য। প্রথমে সুমি উপহার নিতে আপত্তি জানালেও, সতীনাথ বলেন যে আর্য অপর্ণাকে অনেক স্নেহ করে।
আর্যর মা রাজলক্ষ্মীও ঠিক তাই করেন বলেই উপহার এনেছেন, তাকে ফিরিয়ে দিলে অপমান করা হবে। এদিকে মীরা ভয়ে কিছুতেই ঢুকতে পারছে না অপর্ণাদের বাড়ি। সতীনাথ মীরাকে দেখে স্বাভাবিক ব্যবহার করে ভেতরে আসতে বলেন। সবাইকে একই রকম করলেও, কার্যকে বিশেষভাবে আপ্যায়ন করতে থাকেন সতীনাথ। সতীনাথের এই আচরণে অপর্ণা থেকে শুরু করে সবার একটা সন্দেহ হয়। এরপর পুরোহিত আসলে পুজো শুরু হয়। পাড়া-প্রতিবেশীরাও একে একে এসে উপস্থিত হন।

কিছু জন লক্ষ্য করেন আর্য-অপর্ণা একে অপরের দিক থেকে চোখ সরাতে পারছে না, কিন্তু কেউ কিছু বলেন না। এরপর হিন্দোল তার মাকে নিয়ে উপস্থিত হয়। তাঁদের দেখা মাত্রই সতীনাথের চোখে এক আলাদাই চমক লক্ষ্য করে অপর্না। আর্যকে দেখে হিন্দোলের মা জানতে চান উনি কে। সতীনাথ হঠাৎ করে বলেন, তার দাদার মতো অপর্ণাকে স্নেহ করেন আর্য। অপর্ণার বস হলেও আপদে-বিপদে সব সময় পাশে দাঁড়িয়েছেন। হিন্দোলের মা বলেন, তাহলে অপর্ণার পিতৃসম অভিভাবক আর্য।
রাজলক্ষ্মী থেকে শুরু করে অপর্ণা সবার এই কথায় যথেষ্ট আঘাত লাগে। এই সবকিছু উপেক্ষা করে পূজোর শেষ হয় সুষ্ঠভাবে। সবার মনে একটাই কথা, শুধুমাত্র চিকিৎসা করেছে বলেই বাড়ির পুজোয় তাকে আমন্ত্রণ জানানো সতীনাথের বাড়াবাড়ি। কিন্তু এর উত্তর পেতেও সবার দেরি হয় না। হিন্দোলের মা জানান, আর দু’মাসের মধ্যে তার ছেলে বিদেশ চলে যাচ্ছে। নিজের খেয়াল রাখতে পারে না কাজের চাপে, আর তাছাড়া প্রথম দেখাতেই অপর্ণাকে খুব পছন্দও হয়েছে তার। সতীনাথের কাছে অপর্ণার বিয়ের প্রস্তাব রাখেন তিনি।
এক কথায় সতীনাথ আর সুমি রাজি হয়ে যায় মেয়েকে বিয়ে দিতে। রাজলক্ষ্মী-আর্য সবার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। যদিও মীরা খুব আনন্দ পায়। অপর্ণা বুঝতে পারে না কি করবে এখন। এই বিয়ে নিয়ে হিন্দোল অপর্ণার মত জানতে চায়। কিন্তু সুমি মেয়েকে চুপ করিয়ে বলে, বাবা মায়ের সিদ্ধান্তের উপর অপর্ণা কোনদিনও কথা বলে না। রাজলক্ষ্মী বলতে চান আর্য-অপর্ণার ভালবাসার কথা। কিন্তু অপর্ণার অসহায়তা দেখে, আর্য নিজে থেকেই সেই উদ্যোগটা নেয়। সতীনাথের সামনে হাতজোড় করে স্বীকারোক্তি করে আর্য।
আরও পড়ুনঃ “এটা কী সত্যিই সম্ভব?”— কাল্পনিকতার সীমানা ছাড়াল বাংলা ধারাবাহিকের বিয়ে! সিঁদুর উড়ে পড়া নয়, জোর করে বিয়েও নয়— এমন দৃশ্য দেখে চোখ কপালে দর্শকদের!
আর্য বলে, অপর্ণাকে ভালবাসে সে এবং তাকেই বিয়ে করতে চায়। এই কথা শুনে পাড়া-প্রতিবেশীরা অনেক পুরনো কথা টেনে আনেন। তারা বলতে থাকেন একাধিক দিন অপর্না-আর্যকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখেছেন। হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে হিন্দোল জানিয়ে দেয় অপর্ণাকে বিয়ে করতে চায় না সে এবং তার মাও বলে অপর্ণা দুশ্চরিত্রা! এই ধাক্কা সহ্য করতে না পেরে সতীনাথ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। হঠাৎ অপর্ণা চিৎকার করে ওঠে, বাবা আর নেই বলে!