জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

অপর্ণার খুশির মুহূর্ত ভেঙে গেল আর্যর দূরত্বে!অতীতের ভারে আজও বন্দি আর্য, অনুভূতি চেপে অপর্ণাকে দূরে সরাল এবার! অশ্রুভেজা বিদায়ে দগ্ধ হল মন, অপুকে কষ্ট দিয়ে নিজেকে র’ক্তাক্ত শাস্তি দিল আর্য!

জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, অপর্ণা খুব খুশি বেশ অনেকদিন পর। সকাল সকাল তৈরী হয়ে নিয়েছে অফিসে গিয়ে আর্যকে নিজের মনের কথা বলবে বলে। অপর্ণাকে এত খুশি দেখে, মা-বাবা খুব শান্তি পান আর এরকমই থাকতে বলেন অপর্ণাকে। আর অপর্ণাও চায়, আজকের পর থেকে যেন আর কিছু লুকাতে না হয়।

অফিসে যাওয়ার আগে অপর্ণার মা আর্যর জন্য খাওয়ার বানিয়ে পাঠায়, কারণ তার মেয়েকে আর্য বারবার বিপদে থেকে বাঁচিয়েছে আর তার বিনিময়ে কিছুই দেওয়ার নেই তাদের কাছে। আর্য যেহেতু অপর্ণার মায়ের রান্না ভালো খায়, তাই তিনি রান্না করেছেন। এদিকে অফিসে যাবে বলে অপু অটোতে উঠে পড়ে, কিন্তু ফাঁকা দেখে সেখানে আর্যকে কী বলবে সেটা নিজের মনে বলতে থাকে।

অন্যদিকে অফিসে পৌঁছে অপর্ণা জানতে পারে, আর্য আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত। অপর্ণাকে দেখেই সহকর্মীরা তার সাহসিকতার জোড়ে এক মেয়ের সম্মান রক্ষার ঘটনা নিয়ে বাহবা দিতে থাকে। অপর্ণা কাজের নাম করে আর্যর সঙ্গে দেখা করতে যায় তার চেম্বারে, সঙ্গে মায়ের তৈরি খাওয়ার নিয়ে। সেখানে ঢুকতেই অপর্ণার চোখে পড়ে যে কিঙ্কর বসে আছে। আর্য অপর্ণাকে দেখে খুব পেশাদার ব্যাবহার করে।

প্রথমে কিঙ্করের উপস্থিতিতে আর্য হয়তো অস্বস্তি বোধ করছে ভাবে অপর্ণা, কিন্তু আর্যকে একান্তে কথা বলার আর্জি জানালে সে কিঙ্করের অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাকে বাইয়ে পাঠায় এবং অপর্ণার সঙ্গে সেই একই পেশাদার ভঙ্গিতে ব্যবহার চালিয়ে হয়। অপর্ণার এবার খাওয়ারটা দিলে, আর্য একাই খেতে শুরু করে। পরে অপর্ণা জানায় যে একসঙ্গে খাবে ভেবেছিল। অপর্ণা ভাবে কোনও কারণে আর্য তার উপর মনক্ষুণ্ন হয়েছে।

কিন্তু আর্য জানায় যে এমনটা নয়, বরং বারবার তাঁর জন্য অপর্ণাকে মেঘরাজের প্রতিশোধের শিকার হতে হচ্ছে আর রাজনন্দিনী আর্যর অতীত ছিল ঠিকই কিন্তু ওকে ভুলে গিয়ে নতুন করে কিছু শুরু করা সম্ভব নয়। আর্য বলে, রাজনন্দিনীর কথাটা বলতে সময় লেগেছে কিন্তু পরে বুঝতে পেরেছে যে তাকে ছাড়া কাউকে জীবনে সেই জায়গা দিতে পারবে না। অপর্ণাকে আর্য পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, তাঁরা পেশাদার সম্পর্কেই ঠিক আছে।

এবার থেকে আর্য অপর্ণার স্যার হয়েই থাকতে চান। অপর্ণাও বলে, আর্যর অতীত নিয়ে তার কোনও সমস্যা নেই। নিজের মনের সঙ্গে আপোষ করছে আর্য কিন্তু বারবার সেইসব কথা ভুল প্রমাণ করতে ব্যস্ত হয়ে আর্য। শেষে অপর্ণা কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলে, দেখা যায় যে সত্যিই নিজের মনের অনুভূতি চেপে রেখে আর্য, অপর্ণার ভালোর জন্য তাকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। অপর্ণার মনে কষ্ট দেওয়ার গ্লানিতে সে নিজের হাত কাঁচে কেটে ফেলে।

Piya Chanda