জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্য চিৎকার করে বলছে যে অপর্ণাকে ভালবাস আর সেই কথাটা আকাশ-বাতাসকে জানিয়ে দিতে চায়। এরপর দেখা যায় আকাশে লেখা ভেসে উঠেছে যে– ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি অপর্ণা!’ অপর্ণা আর নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারে না। ছুটে গিয়ে আর্যকে জড়িয়ে ধরে।
তারপর দেখা যায় দুজনে একে অপরের দিকে দীর্ঘক্ষণ কিছু না বলেই তাকিয়ে আছে। নীরবতা ভেঙে আর্য জিজ্ঞেস করে অপর্ণাকে যে কী দেখতে তার দিকে তাকিয়ে? অপর্ণা উত্তর দেয়, ঠাকুরের কাছে মন থেকে কিছু চাইলে সেটা পাওয়া যায়। সুবুড়ে যে মেওয়া ফলে সেটাই দেখছে সে। আর্য স্বীকার করে যে, অপর্ণাকে সে চোখে হারায়। বাড়ি চলে গেলে আর্যর ভালো লাগে না।

এরপর দুজনে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে গাড়ির কাছাকাছি আসতে অপর্ণার পা পিছলে যায়, কিন্তু ঠিক সময় আর্য হাতটা ধরে নেয়। অপর্ণা বলে, তার আর ভয় নেই কারণ পাশে থাকার মানুষটা পেয়ে গেছে। দুজনের এই একান্ত মুহূর্ত লুকিয়ে লুকিয়ে ক্যামেরাবন্দি করে মীরা। বাড়ি ফেরার পথে অপর্ণা বলে, রুম্পা তাকে একবার বলেছিল যে আর্য নাকি আগে বিয়ে করেছে বলে দোজবর।
আর্য হঠাৎ চুপ করে যায় এই কথা শুনে। নিজেই তারপর উত্তর দিতে যাবে, এমন সময় অপর্ণা বাধা দিয়ে বলে যে এই আর্যর আগে বিয়ে থাকতে পারে। সে স্বভাবত একটু খিটখিটে, কিন্তু মনটা খুব পরিষ্কার একেবারে বাচ্চাদের মতো। অপর্ণা জানায় এই লোকটাকে এসে ভালোবেসেছে, আর আর্য শুধুমাত্র তার একার। তারা সুন্দরী মা হঠাৎ উপস্থিত হন। তিনি বলেন, অন্ধকারে আলোর দরজা খুলে গেছে।
মিলন আর পরিণতি একসঙ্গে আসবে। আর্য-অপর্ণা পারবে তো সব কাঁটা পেরিয়ে নিজেদের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে! এদিকে অপর্ণার মা দোকানে যান চাউমিন কিনতে। সেখানে রুম্পাকে তিনি দেখে ফেলেন, রুম্পা তাড়াতাড়ি করে লুকানোর চেষ্টা করলেও তিনি প্রায় ধরে ফেলেন। এমন পরিস্থিতিতে অপর্ণা এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। অপর্ণা মকে বোঝায় যে ভুল দেখেন তিনি, রুম্পা সারাদিন তার সঙ্গেই ছিল।
আরও পড়ুনঃ ৯০-এর দশকের হিট নায়িকা চুমকি চৌধুরীর জীবনে একের পর এক দুঃখের ঝড়! লোকেশ ঘোষের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ, বাবা-মা-ভাইকে একে একে হারিয়েছেন অভিনেত্রী, এইসবের মাঝেই হারালেন প্রাক্তন প্রেমিক জয় ব্যানার্জীকে! কেমন কাটছে তার জীবন?
অন্যদিকে আর্য বাড়ি ফিরতেই রাজলক্ষ্মী জানতে চান যে কেমন ছিল সবকিছু! আর্য মায়ের হাত ধরে আনন্দে নাচতে শুরু করে। উল্টোদিকে মীরা বাড়ি ফিরে গিয়ে, ফন্দি করছে কি করে আর্যকে নিজের করা যায়। আর্যর প্রত্যাখ্যান মেনে নিতে পারছে না যে। আর্য তাকে কোনদিনও ভালোবাসেনি, এই কথা সে মানতে চায় না। ওই ভিডিওটা নিয়ে সে বলে এটাই দুজনের শেষ একসঙ্গে মুহূর্ত, এরপর আর্য-অপর্ণা আলাদা হবেই!