জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, মীরার মায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান চলছে। আর্য সেখানে পৌঁছাতেই মীরা অর্যকে জড়িয়ে ধরে বলতে থাকে, তার মায়ের শেষ ইচ্ছা ছিল আর্য মীরার দায়িত্ব নিক। কিঙ্কর সবটা দেখে মীরার চাল বুঝতে পারলেও চুপ করে থাকে। মনে মনে মীরা বলে, আজকে আর্যকে ছেড়ে দিলে কোনদিনই পাবে না।
আর্য মীরাকে সান্তনা দিচ্ছে, এমন সময় অপু সেখানে উপস্থিত হয়। আর্যকে মীরার আলিঙ্গনরত অবস্থায় দেখে ভেঙে পড়ে, আর্য তাড়াতাড়ি করে অপুর কাছে ছুটে গেলে, অপু সাফ জানিয়ে দেয় যে মীরার এখন আর্যকে বেশি প্রয়োজন। তারপর ছুটে সেখান থেকে বেরিয়ে যায়, অপুর মনে হতে থাকে আর্য তাকে ঠকিয়েছে। পরমহুর্তেই মনে পড়ে, আর্য তো তাকে কখনোই কোনও কথা দেয়নি।

অপু ঠিক করে নেয়, প্রেম-ভালোবাসা থেকে দূরে থাকবে। এবার থেকে শুধু নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার দিকে বেশি নজর দেবে। অফিসের দিকে রওনা হচ্ছে অপু এমন সময় অর্ক আর মানসীর গাড়ি এসে দাঁড়ায়। অপুকে অর্ক জোর করতে থাকে, তাদের সঙ্গে মীরার বাড়ি যেতে। অবশেষে অপু রাজি হয়, আবার গিয়ে একই পরিস্থিতি দেখতে পায়। চুপচাপ থেকে তাও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে অপু।
অপুকে মীরা জড়িয়ে ধরে কানে কানে বলে, আর্যকে সে কখনওই ছাড়তে পারবে না। আর্যকে ছাড়া তার কেউ নেই, সে মরে যাবে আর্য দূরে সরে গেলে। অপুর কথাগুলো শুনে খুব অস্বস্তি হয়, অবশেষে অফিসে যাবে বলে বেরিয়ে আসে। আর্য পিছু নেওয়ার চেষ্টা করলে, মীরা আর কিঙ্কর আবার বাধা দেয়। এবার আর্য আর কারোর কথা শোনে না, মীরার হাতটা ছাড়িয়ে চলে যায় সেখান থেকে।
আরও পড়ুনঃ “সমাজের চোখে সে ‘দত্তক’, কিন্তু আমাদের কাছে নিজের মেয়েই!” নিজের রক্ত নয়, তবুও মহুল আপনের থেকেও বেশি!”— রূপঙ্করের সাহসী স্বীকারোক্তি মন ছুঁয়ে গেল! দত্তক মেয়েকে নিয়ে রূপঙ্কর-চৈতালির দৃষ্টান্তমূলক অভিভাবকত্ব, প্রশংসায় ভাসছে নেটপাড়া!
এদিকে অপুর মা কিছু একটা ফন্দি করছেন। রুম্পাকে ডেকে তিনি একটা ফর্দ আর কিছু টাকা ধরান। অপুর বাবা সবটা দেখে ফেলায়, ঘটনা গোপন করে অপুর মা বেরিয়ে যায়। অন্যদিকে অপু অফিসে পৌঁছে নিজেকে প্রমাণ করার কাজে লেগে পড়ে। আর্য অফিসের দিকে রওনা হয়, অপুর ভুল ধারণা ভাঙার জন্য। অপুর মা ঠিক কি করতে চলেছেন? জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে!