জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, অপর্ণাকে তার মা সেজে কেউ একজন অপহরণ করে নিয়ে যায়। আর্য এদিকে কিছুই বুঝতে পারে না, হঠাৎ অপর্ণার মা কেন তাঁকে না বলে অপর্ণাকে নিয়ে চলে গেলেন। কিছুক্ষণ পর সেখানে আর্য আর অপর্ণা, দু’জনের বাড়ির লোকেরাই উপস্থিত হয়।
আর্যকে দেখতে পেলেও, তারা অপর্ণাকে খুঁজে পায় না। উদ্বিগ্ন হয়ে অপর্ণার মা তার মেয়ে কোথায় জানতে চাইলে, গামবাসীরা বলে যে সে-ই তো মেয়েকে এসে খুব তাড়া আছে বলে নিয়ে চলে গেলেন। অপর্ণার মা যে সেখানে আসেনি এর আগে এটা সবাই জানে, কিন্তু অপর্ণার মা সেজে কে এসেছিল এটাই কেউ বুঝতে পারে না।
আর্য আর অপেক্ষা না করে কিঙ্করকে নিয়ে অপর্ণার খোঁজ করতে বেরিয়ে যায়। ওদিকে অপর্ণাকে গাড়িতে আটকে রেখে ছদ্মবেশী মা তার মালিকের কাছে গিয়ে জানায় যে অপর্ণাকে নিয়ে এসেছে। মালিক ভেতরে আনার নির্দেশ দেন। মালিকের মুখ দেখা না গেলেও, হাত দেখে বোঝা যায় যে, তিনি একজন মহিলা। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, মেঘরাজকে সে আটক করে রেখেছে।
এদিকে ছদ্মবেশী মা অপর্ণাকে গাড়ি থেকে বের করতেই, অপর্ণা নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। দুজনের হাতাহাতিতে অপর্ণার হাতে ছদ্মবেশী মায়ের মুখোশ খুলে চলে আসে। এরপর সুযোগ বুঝে অপর্ণা তার মাথায় আঘাত করলে, সে কোনরকমে পালিয়ে মালিকের কাছে গিয়ে সবটা জানতেই তার পেটে ছুরি চালিয়ে হ’ত্যা করেন তিনি।
এরপর দেখা যায়, অপর্ণাকেও কাবু করতে ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করা হয়। ঠিক সময় আর্য এসে পৌঁছাতেই সে আর কিচ্ছু করতে পারে না পালিয়ে যায়। এদিকে সুযোগ বুঝে মেঘরাজও বন্দী অবস্থায় থেকে মুক্তি পায়। গ্রামে অপর্ণাকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতেই অপর্ণার মা চিন্তায় পড়ে যায় মেয়ের এই অবস্থা দেখে।
গ্রামের প্রধান চিকিৎসকের ব্যবস্থা করে অপর্ণার জন্য। অপর্ণার এমন অবস্থা দেখে তার মা বাড়ি ফিরে যেতে চান আর আর্যকে তাঁর মেয়ের কাছ থেকে দূরে থাকতে বলেন। অপর্ণার মায়ের কথায়, আর্যর জন্যই অপর্ণা বারবার বিপদে পড়ছে। এই কথার তীব্র প্রতিবাদ করে মানসী আর কিঙ্কর। রাজলক্ষ্মী দুজনকেই চুপ করিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন।